জিডিপি ৬.৪% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস
শেয়ারবাজার ডেস্ক: চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে আরও বেড়ে ৬ শমিক ৯ শতাংশ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক ফোকাস প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সরকার জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের ‘মোড় পরিবর্তন: ডিজিটাইজেশন ও সেবানির্ভর উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সামনে দেশটির অর্থনীতি আরও ভালো হবে। তবে এটি নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার গতির ওপর।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো বেশ পিছিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। করোনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে যেসব আঘাত এসেছে, তা যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে তাহলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি বাড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হতে পারে মালদ্বীপের। দেশটির জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হল ১১ শতাংশ। এর পরেই ভারতে সাড়ে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থাকবে তৃতীয় স্থানে। সমষ্টিগতভাবে এই অঞ্চলে গড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, করোনায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে, কিন্তু পথ হারায়নি। এই সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতি থেকে প্রবৃদ্ধির নতুন গতিপথ ঠিক করতে হবে। ইতোমধ্যে বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা খাতের প্রসার হচ্ছে। তবে উৎপাদন খাত এখনো চাপে আছে।
বিশ্বব্যাংক মনে করে, গত দুই মাসে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে টিকা কার্যক্রমে বেশ ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ এখনো বেশ পিছিয়ে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সাত নম্বরে আছে।
গেল সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হিসাবে, বাংলাদেশের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৪ জন কমপক্ষে এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। অন্যদিকে ভুটান ও মালদ্বীপের ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়ে গেছে। ভারতের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়ে গেছে ১৫ শতাংশ মানুষের।
প্রবৃদ্ধির হার গত অর্থবছরের তুলনায় বাড়ার ইঙ্গিত দিলেও সংস্থাটি মনে করে, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা কমতে পারে। আবার বিদেশে বাংলাদেশী শ্রমিকের চাহিদাও কমতে পারে।