ওন্ডারল্যান্ড টয়েসের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্বাভাবিক হারে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি , এসএমই বোর্ড তালিকাভুক্তির সময় কোম্পানি বন্ধ থাকা এবং বছরের পর বছর লোকসানে থাকার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনে নানা অসঙ্গতি থাকার অভিযোগে ওন্ডারল্যান্ড টয়েস লিমিটেডের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
রোববার ( ২৪ জুলাই) তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির ডেপুটি ডিরেক্টর মোহাম্মদ রতন মিয়াকে। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- বিএসইসির অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর রায়হান করিব এবং ডিএসইর সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দ ফয়সাল আব্দুল্লাহ। এই কমিটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিমুখী প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯০ সালে যাত্রা শুরু করে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে ব্যাবসায়ীকভাবে লোকসান এবং সিকিউরিটিজের নিয়ম ভঙ্গ করায় এটিকে তালিকাচ্যুত করে ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) পাঠানো হয়। এরপর ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কোম্পানির শেয়ার ১৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১১৫ টাকায় ওঠানামা করে। রোববার (২৪জুলাই) সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৪৯ টাকা ৭০ পয়সাতে।
২০১৯ সালের জুলাই থেকে ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ পয়সা; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭ পয়সা। এর মধ্যে ২০২০ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ পয়সা।
প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানির ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৩২ পয়সা।
২০২১ সালে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্তির সময় কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে শেয়ার ছিল ৪৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। বর্তমানে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ শেয়ার। অর্থাৎ দাম বাড়িয়ে উদ্যোক্তারা প্রায় ১৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। কোম্পানির বাকি শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার। কোম্পানিটি গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অবস্থতি।
/এসএ