বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাপ্তাহিক বন্ধ একদিন বাড়ালো ওয়ালটন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাপ্তাহিক বন্ধ একদিন বাড়ালো ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। কর্মদক্ষতা ও কর্মসমন্বয়ের মাধ্যমে উৎপাদন ও বিক্রয়সহ সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখে চলমান বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় এ উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎসাশ্রয়ে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ইতোমধ্যেই ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ হেডকোয়ার্টারে সব পণ্যের প্রোডাকশন প্ল্যান্ট, করপোরেটসহ সারা দেশে সব ধরনের অফিস, সেলস আউটলেট এবং সার্ভিস সেন্টারে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সর্বোচ্চ সাশ্রয়ী হতে নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে অন্যান্য সব বিষয়ে অপচয় রোধসহ নিজেদের বাসস্থানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে সহকর্মীদের আহŸান জানিয়েছেন তিনি। এবার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাপ্তাহিক বন্ধ একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোলাম মুর্শেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষিতে ঘাটতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে সফল করতে বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্টতা জরুরি। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বৈশি^ক এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন ও ব্যবসা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে হবে। নতুবা ধারাবাহিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। সেজন্য সাপ্তাহিক বন্ধ একদিন বাড়ানো হলেও আমরা এমনভাবে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিয়েছি যাতে কর্মদক্ষতা ও কর্মসমন্বয়ের মাধ্যমে উৎপাদন ও বিক্রয়সহ সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে।
উল্লেখ্য, দেশের সব ধরনের উন্নয়ন কাজে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততার উজ্জ্বল উদাহরণ ওয়ালটন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি গ্রিন এনার্জি জেনারেশনেও ওয়ালটন কাজ করছে। সৌরশক্তি ব্যবহার করে আগামি বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। যার প্রথম ধাপে ইতোমধ্যেই ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে ২.১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট চালু করা হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই ১০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে ওয়ালটন। যা গ্রিন এনার্জি জেনারেশনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।