আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ অগাস্ট ২০২২, সোমবার |

kidarkar

আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠায় একসাথে হুয়াওয়ে ও কুয়েট

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানে আরও বেশি দক্ষ করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি আইসিটি একাডেমি চালু করবে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো, পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। এ নিয়ে আজ (১ আগস্ট) কুয়েট ক্যাম্পাসে কুয়েট ও হুয়াওয়ে’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়।

এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্টিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আযহারুল হাসান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান ভুঁইয়া, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. পল্লব কুমার চৌধুরী, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন, পাবলিক রিলেশন্স ম্যানেজার তৌহিদুল হাসান এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

এই চুক্তির অধীনে কুয়েটে একটি বিশেষ ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং হুয়াওয়ে এর নিজস্ব আই-লার্নিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে কুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ট্রেনিং ম্যাটেরিয়াল ও কোর্স প্রদান করবে। এই একাডেমি প্রথমে কুয়েটের শিক্ষকদের হুয়াওয়ের সার্টিফাইড ট্রেইনার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষিত করবে। এরপর আইসিটি একাডেমির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সর্বাধুনিক আইসিটি প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

কুয়েটের ইলেক্টিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আযহারুল হাসান বলেন, “আমাদের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধিসহ সার্বিকভাবে উন্নয়নের জন্য একটি টেকসই আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের আইসিটি ইকোসিস্টেমে হুয়াওয়ে নানাভাবে অবদান রেখেছে। আমি বিশ্বাস করি, হুয়াওয়ে কুয়েট আইসিটি একাডেমি আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনের নতুন নতুন দিক উন্মোচন করবে।”

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন বলেন, “ডিজিটালাইজেশনের সাথে সম্পর্কিত লক্ষ্যপূরণ করতে বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তা করতে সবসময় প্রস্তুত হুয়াওয়ে। এক্ষেত্রে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। এজন্য একটি ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে আইসিটি বিষয়ে মেধাবী তরুণদের দক্ষ করে তুলতে সরকার ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এ তরুণরাই আগামী দিনে দেশের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতের পৃথিবীর জন্য তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে আমাদের প্রতিশ্রুতিরই অংশ এই আইসিটি একাডেমি।”

হুয়াওয়ে ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী স্কুল-এন্টারপ্রাইজ কো-অপারেশন প্রকল্প হিসেবে আইসিটি একাডেমি চালু করে। বর্তমানে, পাকিস্তান, জাম্বিয়া ও চীনসহ বিশ্বজুড়ে ৯০টির বেশি দেশে হুয়াওয়ের পরিচালনায় ১৫শ’ আইসিটি একাডেমি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ উদ্যোগের সাথে সবমিলিয়ে ৯২৭টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত। এছাড়াও, বিশ্বের হাজার-হাজার শিক্ষার্থী এ উদ্যোগ থেকে উপকৃত হচ্ছেন।

একইভাবে বাংলাদেশে একটি আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে চলেছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এরই মধ্যে, গত মার্চ মাসে বুয়েটে হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি চালু করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.