বন্ধ হচ্ছে ফেসবুক লাইভে পণ্য বিক্রি সুবিধা
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক এখন আয়ের পথও করে দিয়েছে। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পেজ খুলে আয় করছেন অনেকেই। এজন্য ফেসবুকের লাইভ অপশন খুবই ভালো এক উপায়। লাইভে এসে পণ্য বিক্রি করছেন বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা।
দুই বছর আগে লাইভ অপশনটি যুক্ত হয়েছিল এই প্ল্যাটফর্মে। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে যে কেউ লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারছেন যে কোনো সময়। ফেসবুক পেজের রিচ এবং ভিউ বাড়াতে লাইভ স্ট্রিমিং খুবই সাহায্য করে। তবে ব্যবসায়ীরা এটিকে বেছে নিয়েছিলেন পণ্য বিক্রির জন্য।
তবে ফেসবুক লাইভ ও ইভেন্টগুলোতে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করা যাবে, কিন্তু লাইভ ভিডিওর প্লেলিস্টে কোনো পণ্যের ট্যাগ দেওয়া যাবে না। তবে পণ্যের শোকেসিংটা ‘রিল’-এর মাধ্যমে করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। রিল অ্যাড এবং ইনস্টাগ্রাম রিলের মাধ্যমে প্রোডাক্ট ট্যাগিং করার অনুরোধ করেছে মেটা।
সম্প্রতি মেটার পক্ষ থেকে একটি ব্লগ পোস্টে জানানো হয়েছে, যেহেতু ব্যবহারকারীদের আচরণ ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য ভিডিও ফর্মের দিকে এগোচ্ছে, তাই আমরাও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে রিলকে প্রাধান্য দিচ্ছি।
এতদিন লাইভ শপিং ইভেন্ট ফিচারটি ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবসায়ীরা ফলোয়ারদের জন্য পণ্যের ভিডিও তৈরি করত। ব্যাপারটা অনেকটাই পারসোনাল হোম শপিং নেটওয়ার্কের মতোই। এখানে একজন মার্চেন্ট তার ফলোয়ারদের আসন্ন লাইভ শপিং সেশনের নোটিফিকেশন দিতে পারত এবং মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারত। তবে অক্টোবরের পর থেকে আর তা হচ্ছে না।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে রাজত্ব করছে টিকটক। এই প্ল্যাট ফর্মে শর্ট ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি ও আপলোড করার মাধ্যমে আয়ের পথ করেদিয়েছিল সাইটটি। তাদের কিছু কৌশলগত অগ্রগতির কারণে তরুণ সম্প্রদায়কে বেশ আকৃষ্ট করতে পেরেছে তারা। যে কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে মেটার বেশ কিছু সাইট।
এ কারণেই বেশ কিছু আপডেট আনছে মেটা। এর মধ্যে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে রিলকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে টেক জায়ান্টটি। এখন এটিকেই তাদের ক্ষতির মুখ থেকে উঠে আসার একমাত্র রক্ষাকবচ হিসাবেই মনে করছে তারা।
বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর ২০ শতাংশ সময় পার করছেন রিল দেখে। এজন্য মেটা ধারাবাহিকভাবেই ক্রিয়েটরদের চাপ দিচ্ছেন আসল কনটেন্ট বানানোর জন্য। এখন থেকে রিলসের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি, প্রচার ও ট্যাগ দেওয়া যাবে।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
শেয়ারবাজার নিউজ/খা.হা.