তৃতীয় প্রান্তিকে
বস্ত্র খাতের অধিকাংশ কোম্পানির আয় বেড়েছে
শাহ আলম নূর : দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের অধিকাংশ কোম্পানির আয় বেড়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এসব প্রতিষ্ঠানের আয়ে বেশ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। সুতার দাম বৃদ্ধি ও রপ্তানি বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধির কারনে এখাতের আয় বেশ ভাল হয়েছে বলে খাত সংশ্লিষ্ঠরা মনে করছেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষন করে দেখা যায় তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৩৪ টির আয় বেড়েছে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। একই সাথে ১৯ টি কোম্পানির আয় নেতিবাচক লক্ষ্য করা গেছে। অপর দিকে ৫টি কোম্পানি তাদের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেনি।
তবে চলমান বিদ্যুত সংকট এবং সাম্প্রতিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি আগামী প্রান্তিকে বস্ত্র খাতের আয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তার বলছেন টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন এই বস্ত্র খাতের রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল ইপিএস এক বছরের আগের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৪৪৬ শতাংশ বেড়েছে।
ইপিএস হল একটি কোম্পানির নিট মুনাফা যা এর বকেয়া থাকা সাধারণ শেয়ারের সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়।
মুন্নু ফেব্রিকস লিমিটেড দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের আয় ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০.০৫ টাকা, যা গ বছরের একই সময়ে ছিল ০.০১ টাকা।
মন্নো ফেব্রিক্স কোম্পানির সেক্রেটারি জিশান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, পরিচালনা ব্যয় হ্রাস করা এবং অন্যান্য খরচ কমানের কারনে ইপিএস বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
তমিজউদ্দিন এবং মুন্নুর পর বস্ত্র খাতের অন্য যে সব প্রতিষ্ঠানের ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে এদের মধ্যে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এনভয় টেক্সটাইল, তোশরিফা টেক্সটাইল, স্কয়ার টেক্সটাইল, তোসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, সাফকো স্পিনিংস মিলস এবং মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস অন্যতম।
নেতিবাচক আয়ের শীর্ষ পাঁচটি কোম্পানি হচ্ছে অ্যানলিমায়ার্ন ডাইং, ইভিন্স টেক্সটাইল, হামিদ ফেব্রিক্স, প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং এবং অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
এক সপ্তাহ আগে, বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১১৪ টাকা। পেট্রোলের দাম স্থির করা হয়েছে প্রতি লিটার ১৩০ টাকা, যা ৫১.১৬ শতাংশ বেড়েছে। অকটেনের দাম পড়বে ১৩৫ টাকা বা বর্তমান রেট থেকে ৫১.৬৮ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মতে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে পোষাক শিল্প থেকে রপ্তানি আয় ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৬.৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে ৩.৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরী পোষাক রপ্তানি হয়েছে যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২.৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে চারটি কোম্পানি তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। সেগুলো হলো সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল লিমিটেড, ফ্যামিলিটেক্স (বিডি) লিমিটেড, মিঠুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস এবং রিং শাইন টেক্সটাইল।