করোনার টিকা প্রথম-দ্বিতীয় ডোজ না নিলে বুস্টার ডোজ পাবেন না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো আছে। কোভিডে মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে এবং আক্রান্তের হার ৪ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। তবে এখনো অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেননি। দ্বিতীয় ডোজ ৯০ লাখ মানুষ নেয়নি। এ ছাড়া বুস্টার ডোজ মাত্র চার কোটি মানুষ নিয়েছে। কেউ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ না নিলে বুস্টার ডোজ পাবেন না।
যারা এখনো ভ্যাকসিন নেয়নি, তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর আর বুস্টার ডোজ নেওয়া সম্ভব হবে না। সকলকেই টিকা নিতে হবে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকদের বিশেষায়িত সেবায় স্ক্যানো ইউনিট উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,যারা এখনো ভ্যাকসিন নেয়নি, তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর আর বুস্টার ডোজ নেওয়া সম্ভব হবে না। সকলকেই টিকা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা প্রদান পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ আগ স্ট থেকে সিটি করপোরেশনগুলোতে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধন ছাড়া শিশুকে টিকা দেওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ জন শিশু মারা যায়। এই মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানো ইউনিট) চালু করা হবে। এতে নবজাতকের মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে।
তিনি বলেন, অপরিপক্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত নবজাতকদের বিশেষায়িত সেবার জন্য স্ক্যানোতে রাখতে হয়। এই স্ক্যানোতে বিশেষায়িত সেবার ফলে নবজাতক সুস্থ হয়ে ওঠে। এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে শিশু মৃত্যুর হার ১০ শতাংশে কমিয়ে আনতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে প্রায় ৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমের দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে স্ক্যানো ইউনিট চালু করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বাড়ায় সারাদেশেই জনবলের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নতুন জনবল কাঠামো তৈরি করে জনবল নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোভিডের মধ্যে ১৫ হাজার চিকিৎসক এবং ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী সব হাসপাতালে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
শেয়ারবাজার নিউজ/খা.হা.