আজ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

বিআইসিএমের রিসার্চ সেমিনার-১৫ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর মাল্টিপারপাস হলে “বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার-১৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (১৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে “সার্টিফিকেট অব গভর্নেন্স কমপ্লায়েন্স, টাইপ অব সার্টিফায়ার্স অ্যান্ড মার্কেট-বেসড পার্ফরম্যান্স: এভিডেন্স ফ্রম এ ইউনিক রেগুলেটরি সেটিং (Certification of Corporate Governance Compliance, Type of Certifiers and Market-based Performance: Evidence from a Unique Regulatory Setting)” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব নর্থআমব্রিয়ার প্রভাষক ড. আব্দুস সোবহান। ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারটির আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মেলিটা মেহজাবিন এবং আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মুশফিকুর রহমান।

সেমিনারে উপস্থাপিত ইউনিভার্সিটি অব নর্থআমব্রিয়ার প্রভাষক ড. আব্দুস সোবহান মূল প্রবন্ধে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলেছেন, “ আমরা কর্পোরেট গর্ভনেন্স- সিজি কমপ্লায়েন্স এর ইনডিপেনডেন্ট সার্টিফিকেশন এর সাথে কোম্পানীর মার্কেট বেজড্ পারফরমেন্স এর পজেটিভ সম্পর্ক পেয়েছি। একইভাবে আমরা চার্টার্ড সেক্রেটারি ফার্মের সার্টিফিকেশন প্রদানকারী এবং কোম্পানির কর্মক্ষমতা মাঝেও পজেটিভ সংযোগ দেখেছি। একটি পেশাদার ফার্ম কর্তৃক বিসিজিসির সাথে সার্টিফিকেট অব কমপ্লায়েন্স সাধারণভাবে বার্ষিক প্রতিবেদনের কমপ্লায়েন্স রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। তবে এই সার্টিফিকেট অব কমপ্লায়েন্স এর সুবিধা ফার্ম এর বৈশিষ্ট্য এর উপর নির্ভর করবে। এবং এটাও নিশ্চিত যে, কর্পোরেট গর্ভনেন্স –সিজি সংস্কারে কোন একক আকার সব জায়গায় ফিট করবে না।” তিনি আরও বলেন, “মূলত ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১০৫৮ টি বাংলাদেশি কোম্পানী পর্যবেক্ষণ আমরা কোম্পানির বাজার-ভিত্তিক কর্মক্ষমতার সাথে কমপ্লায়েন্স উইথ সিজি কোডের সম্পর্ক অন্বেষণ করেছি।”

সেমিনারটির উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, “ বাংলাদেশের আর্থিক বাজার বিশেষ করে পুঁজিবাজার এর জন্য কর্পোরেট গর্ভনেন্স অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ।” এসময় তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট তাঁর সূচনালগ্ন থেকে বিনিয়োগ শিক্ষা প্রদান করে যাচ্ছে। একইসাথে বাজারের বিভিন্ন নলেজ গ্যাপগুলো চিহ্নিত করে সার্টিফিকেট প্রেগ্রাম, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং মাস্টার্স প্রোগ্রাম পরিচালনা করছি। পুঁজিবাজার বিষয়ক প্রয়োজনীয় শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে গবেষণাকেও গুরুত্ব দিচ্ছি।”

আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মেলিটা মেহজাবিন এবং আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মুশফিকুর রহমান তাদের আলোচনায় গবেষণাটির বিভিন্ন পরিমাপক এবং হাইপোথিসিস সহ বেশ কিছু টেকনিক্যাল বিষয়ে আলোকপাত করেন। ভালো এবং খারাপ গর্ভনেন্স এর পরিমাপক সুস্পষ্ট নয় প্রবন্ধটিতে। আবার এখানে, নারীদের কোম্পানীর বোর্ডে যে পজেটিভ চিত্রায়ন দেখানো হয়েছে, তা আরও আলোচনার দাবি রাখে। কারণ, দেশের অধিকাংশ কোম্পানীর বোর্ডে নারীর অংশগ্রহণ পারিবারিক কারণে, যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়। তবে, কোড অব কর্পোরেট গর্ভনেন্স এর একটা চেকলিস্ট হওয়া জরুরি।

সেমিনারটিতে বিআইসিএম এর অনুষদ সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তা এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.