ঢাকাকে শৃঙ্খলায় আনতেই সময়সূচির গণবিজ্ঞপ্তি: তাপস
ঢাকা শহরকে শৃঙ্খলার সঙ্গে পরিচালনার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচির আওতায় আনতেই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ে শহর পরিচালনার এমন পদ্ধতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলন আছে। সে হিসাবে আমরা ঢাকা শহরকেও একটি নির্দিষ্ট সময় পরিচালনা করতে চাই। এর আগে ঢাকার কোনো সময়সূচি ছিল না, সেটিই আমরা করতে চাচ্ছি। গণবিজ্ঞতি অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পর সবধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নগর পরিবহনের নতুন রুটের বাস থামার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিএসসিসি মেয়র।
‘নতুন গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট সময় পর ফার্মেসিও বন্ধের কথা বলা হয়েছে’— এমন হলে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়বে এমন প্রশ্নে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ফার্মেসিকে আমরা সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি। অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকায় যেসব ফার্মেসি আছে তা রাত ১২ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অন্য হাসপাতালের সঙ্গে যেসব ফার্মেসি সংশ্লিষ্ট, সেগুলো রাত ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আশাকরি, সবাই সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। কিন্তু রাত ২টার পর কারো ওষুধের দরকার হলে তখন কী হবে, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান মেয়র।
গত সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাকা শহর নির্দিষ্ট সময় পরিচালনায় একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার জন্য গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনাক্রমে ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকায় শৃঙ্খলা আনয়ন এবং ঢাকা শহর পরিচালনার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে জনস্বার্থে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।
এর মধ্যে সব দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। একইভাবে সবধরনের রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকান, ও দোকানের রান্নাঘর রাত ১০ টা এবং খাবার সরবরাহ রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহসহ চিত্ত বিনোদনমূলক স্থাপনা, প্রতিষ্ঠানগুলো রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। আর সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২ টায় এবং হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত ২টার মধ্যে বন্ধ করতে বলা হয়েছে।