আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইনার হুইল ক্লাবের আয়োজিত ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার যেহেতু বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পায়নি সেহেতু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলো কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি শুধু জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের উক্তিটিই করেছি। অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সব সময় বলে থাকি তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে আসছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। আমাদেরকে কিছু প্রশ্ন আগেই দিয়েছিলেন। তার প্রশ্নের ৭৬ জন গুমসহ অন্যান্য বিষয় আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তাকে দেখিয়েছিলাম ও কোনদিন কি হয়েছে বিস্তারিত বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছি। এসব দেখে তিনি আমাদের কোনো প্রশ্ন করেননি।
সব কিছু বিশ্লেষণ করে তিনি মতামত দিয়েছেন। তিনি তার বিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে না বরং খুব সযত্ন সহকারে দেশ পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কথায় তিনি (জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট) বারবার বলেছেন।
সদ্য বাংলাদেশ সফরকারী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেটের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী জাতিসংঘের দৃষ্টিতে মানবাধিকার বা অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো উদ্বেগ প্রকাশিত হয়নি।
তাহলে বিএনপি যে বারবার অভিযোগ করে আসছিল এবার তাদের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হলো কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি তারা (বিএনপি) একটা অবস্থার সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে রটনা করে যাচ্ছে। যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সত্যতা দেখাতে পারেনি। ভিত্তি না থাকার কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।