আজ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ইং, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার |

kidarkar

সমন্বিত ও সময়োপযোগী প্রচেষ্টা সম্ভাব্য কোভিড বিপর্যয় এড়াতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্মিলিত এবং সময়োপযোগী প্রচেষ্টা কোভিড-১৯ মহামারি থেকে বহু জীবন বাঁচিয়ে সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে পারে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্টস ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন ফিজিশিয়ানস আয়োজিত ‘ব্যথা সম্পর্কিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২২ এবং ব্যথা বিষয়ে সাম্প্রতিক অগ্রগতি বিষয়ক সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২২’ এ সম্প্রচারিত প্রাক-রেকর্ড করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করেছে এবং অনেক জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনা করে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে, মহামারির কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাবে। তবে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বিত এবং সময়োপযোগী প্রচেষ্টা সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে পারে।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে অ্যানেস্থেশিয়াতে ৪০৯ জন জুনিয়র পরামর্শদাতা, ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার নার্স বিশেষ নিয়োগ দিয়েছি।

এই সম্মেলন সর্বশেষ গবেষণার তথ্য ও কৌশল শেয়ার করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে এবং ব্যথা, ব্যথার ওষুধ, মূল্যায়নের সরঞ্জাম এবং ব্যথা ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আন্তর্জাতিক গবেষকদের জন্য একটি ফোরাম গঠনে সহায়তা করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্টস ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন ফিজিশিয়ানস-বিএসএ-সিসিপিপিকে অভিনন্দন জানান এবং দেশ-বিদেশের অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান।

দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৬টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। গত এক দশকে সরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বেসরকারি খাতে দেশে প্রচুর সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে ৩০টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.