আজ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ইং, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার |

kidarkar

বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবারও বেড়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা না কাটায় আন্তর্জাতিক বাজারে ফের ঊর্ধ্বমুখী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি পুনবর্হালের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসা এবং রুশ তেলে পশ্চিমাদের কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরের সময়সীমা এগিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম এক শতাংশ বা ৯২ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯৩ দশমিক ৭৬ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআিই) দাম ব্যারেলপ্রতি ০.৮ শতাংশ বা ৭১ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৮৭ দশমিক ৫০ ডলার।

গত সপ্তাহে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস ঘোষণা দেয়, আগামী অক্টোবর মাস থেকে দৈনিক এক লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে। তাদের এ সিদ্ধান্তের পরপরই বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করে তেলের দাম। তবে সেটিকে লাগামহীন হতে দেয়নি চীনে লকডাউনের খবর। বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশটিতে করোনাজনিত লকডাউনের কারণে জ্বালানি চাহিদা কমে যাওয়ার উদ্বেগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

এ অবস্থায় গত শনিবার ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি বলেছে, ইরান পরমাণু চুক্তি পুনবর্হাল সত্যিই চায় কি না সে বিষয়ে তাদের ‘গুরুতর সন্দেহ’ রয়েছে। এই চুক্তি না হওয়ার অর্থ, আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানি তেলের প্রবেশ সম্ভবত বন্ধই থাকছে।

তবে বছরের শেষের দিকে তেলের দাম আবারও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ রাশিয়ার তেলের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হচ্ছে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে। পাশাপাশি, রুশ তেলের ওপর মূল্যসীমা আরোপ করতে চলেছে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি৭। এতে বিশ্ববাজারে তেল সরবরাহে ঘাটতি আরও বাড়তে পারে।

তেলের বাজারের জন্য আরেকটি খারাপ খবর হচ্ছে, গত দুই দশকের মধ্যে চীনে প্রথমবারের মতো তেল আমদানি কমে যেতে পারে। বেইজিংয়ের ‘জিরো কোভিড’ নীতির কারণে ছুটির দিনগুলোতেও মানুষ ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে, যাতে জ্বালানির চাহিদা কমছে।

তাছাড়া, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার আরও বাড়াতে প্রস্তুত। এটি হলে অনেক মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যমান আরও বাড়তে পারে এবং এর ফলে ব্যবসায়ীদের জন্য তেল কেনা হয়ে উঠবে আরও ব্যয়বহুল।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.