ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় নোরু, ৫ উদ্ধারকর্মীর মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিপাইনের লুজোন দ্বীপে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নোরু। এতে পাঁচ উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়েছিলেন তারা। এছাড়া কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। খবর ব্লুমবার্গের।
উত্তরাঞ্চলীয় ম্যানিলা প্রদেশের বুলাকান শহরের একটি বন্যাকবলিত এলাকা থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
জ্বালানিমন্ত্রী রাফায়েল লোটিলা সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকায় জেনারেটর সুবিধা দেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
ফিলিপাইনে আঘাতের পর এই ঘূর্ণিঝড়টি এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এদিকে ফিলিপাইনে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সব স্কুল, সরকারি অফিস এবং ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে রাজধানী ম্যানিলার প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূমিধস আঘাত হেনেছে।
অপরদিকে জাপানের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তালাস। সেখানে কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বিশুদ্ধ পানির সংকটও দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার টাইফুনের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং বেশ কয়েক জায়গায় ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। দুর্যোগে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির শিজুকার কাওয়ানেহোনচো শহরে এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া আরও তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন। জাপানের আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, টাইফুন তালাসের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ সেন্টিমিটারের বেশি (১৬ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তীব্র ঝোড়ো বাতাস ও ভারি বৃষ্টির কারণে শিজোকার পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বাড়ি-ঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।