আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ অক্টোবর ২০২২, বুধবার |

kidarkar

বিজয়া দশমী আজ

শুভ বিজয়া দশমী আজ (বুধবার)। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এ দিনেই দেবী মর্ত্য ছেড়ে ফিরে যাবেন স্বামীগৃহ কৈলাসে। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে আজ শুধুই বিষাদের ছায়া। উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনায় থাকবে দেবী দুর্গার বিদায়ের সুর।

পুরাণ মতে, বিজয়া দশমীর অন্যতম আয়োজন ‘দেবীবরণ’। রীতি অনুযায়ী, সধবা নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ান। দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর সেই সিঁদুর প্রথমে সিঁথিতে মাখান, পরে একে অন্যের সিঁথি ও মুখে মাখেন। মুখ রঙিন করে হাসিমুখে দেবীকে বিদায় জানান, যা সিঁদুর খেলা নামে পরিচিত।

বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দশমী বিহিত পূজা শুরু ও পূজা শেষে দর্পণ-বিসর্জন দেওয়া হবে। এরপর বিজয়া দশমী উপলক্ষে বিকেল ৪টায় আয়োজন করা হবে শোভাযাত্রা।

পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় এজন্য মন্দিরগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেবী দুর্গার আবাহন বা মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের শুরু হয়। আর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ১ অক্টোবর শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। এরপর হাসি-আনন্দ আর পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে কেটে গেছে চারটি দিন। আজ সকালে দশমী বিহিত পূজা শেষে দর্পণ-বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। আর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়েই শেষ হবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।

এবার সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, এ বছরের শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে যেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করতে পারেন সেজন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রেপ ও পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে পূজার চলাকালীন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন নিরাপত্তার কাজে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.