আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ অক্টোবর ২০২২, সোমবার |

kidarkar

২০২৫ সালে বাজার ৫০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব: বিএসইসি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেছেন, আমদের যে মার্কেট ক্যাপিটাল- আমি বিশ্বাস করি ২০২৫ সালে জিডিপির সাথে তাল মিলিয়ে এটাকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব।

তিনি বলেন, আমাদের মার্কেট প্যানিট্রেশন বর্তমানে ২ শতাংশ, কোনো কোনো দেশে তা ৫৮-৬০ শতাংশ।  আমাদের জিডিপির তুলনায় মার্কেট ক্যাপের পরিমান ২৭ শতাংশ।  ভারতসহ অন্যান্য দেশে তার পরিমাণ অনেক বেশি। এখানে আমরা একটি অসম্পৃক্ত অবস্থায় রয়েছি। তাই এই বাজারে মার্কেট ক্যাপ এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ব্যপক সুযোগ রয়েছে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফিনটেক কীভাবে বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার পরবর্তী দশককে রূপ দিতে পারে’ শীর্ষক এই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল হালিম বলেন,  বিশ্ব ব্যাংকের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আমাদের জিডিপি ট্যু মার্কেট ক্যাপ ২৭ শতাংশ, এবং আমাদের জিডিপির সাইজ ৪ শত ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটু বেশি। আমাদের অর্থনীতির যে ক্রমবর্ধমান ধারা আমরা লক্ষ্য করছি তাতে আমরা আশা করছি ২০২৫ সাল নাগাদ আমাদের জিডিপির সাইজ ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করবে। আমরা যদি সে সময় আমাদের জিডিপি মার্কেট ক্যাপের ৫০ শতাংশেও নিতে চাই তাহলে তা ৩০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হবে। অর্থাৎ টাকার হিসাবে এটি প্রায় ৩০ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ বর্তমান পুঁজিবাজারের আকারের প্রায় তিনগুন।

তিনি আরও বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা এই অবস্থার জন্য কতোটুকু প্রস্তুত? শুধু পৌছানোর স্বপ্নের কথা বললে হবে না। আমাদের প্রস্তুতি কতোটুকু সেই বিষয়েটিও খেয়াল রাখতে হবে। পুঁজিবাজারে অসংখ্য খেলোয়াড়। বিএসইসি এখানে নিয়ন্ত্রণক সংস্থা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এর বাহিরে ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএস, সিসিবিএল রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন ধরণের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানও। এছাড়াও সরকার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি সবকিছুরই প্রভাব এই বাজারে রয়েছে।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার মূলত ইক্যুইটি নির্ভর। এখানে বন্ড রয়েছে, এখানে গভার্মেন্ট বন্ড রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ড, সুকুক এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি মার্কেটও চালু করার চিন্তা ভাবনা করছে। আরও অনেক প্রডাক্ট এই বাজারে রয়েছে বা আসছে। কিন্তু বাজারে তার অবদান এখনো তুলনামূলক ভাবে কম।

এসময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে ডিএসইর সিওও সাইফুর রহমান মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভী এবং ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি’রোজারিও।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিবিএর সহ-সভাপতি মো. সাইফুদ্দিন, সিএফএ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.