নাভানা ফার্মার আইপিও’র শেয়ার বিওতে প্রেরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। আজ রোববার, ১৬ অক্টোবর সিডিবিএলের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার বিও হিসাবে জমা হয়েছে।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ২ অক্টোবর কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে মোট ৬.১৬ গুন বেশি আবেদন জমা পড়ে। প্রতি ১০,০০০ টাকা আবেদনের বিপরীতে নিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ৪৫ টি শেয়ার এবং অনিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ১৮৮ টি শেয়ার বরাদ্দ পায়।
নাভানা ফার্মা গত ১৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার পরযন্ত আইপিও আবেদন গ্রহণ সম্পন্ন করে।
আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে প্রতিটি শেয়ারের জন্য মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ২৪ টাকা। স্থানীয় বিনিয়োগকারী ও অনিবাসী বাংলাদেশীদের (Non-Resident Bangladeshi-NRB) জন্য মোট এক কোটি ৭৩ লাখ ৭ হাজার ৭০০ শেয়ার সংরক্ষিত আছে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর নিয়ম অনুসারে গত ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে নিলামে শেয়ার বিক্রি করা হয়। এতে তাদের জন্য সংরক্ষিত সব শেয়ার বিক্রি শেষ হয় ৩৩ টাকা ৯৭ পয়সা দরে। এটিই শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস।
বিএসইসির সর্বেশষ অনুসারে, কাট-অফ প্রাইসের উপর ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে। এই হিসাবে নাভানা ফার্মার শেয়ারের দাম নির্ধারিত হয়েছে ২৪ টাকা।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এই টাকা কোম্পানির নতুন উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্ফোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর জন্য ব্যয় করবে।
গত ১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৩৯ পয়সা। গত ৫ বছরে কর পরবর্তী মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ০২ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী মূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৫২ পয়সা।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।