চেকে লেনদেন বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে বিএসইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক : চেকে লেনদেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যে সিদ্ধান্ত গত কয়েকদিন শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করার মাধ্যমে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
গত ১১ অক্টোবর গ্রাহকের চেক ব্রোকারেজ হাউজের হিসাবে নগদায়ন বা জমা না হওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগকারী লেনদেন করতে পারবে না বলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে ডিএসই চিঠি পাঠায়। ওই চিঠিতে বিএসইসির সংযুক্ত করা এক নির্দেশনার বিষয়ে বলা হয়, গত ২২ সেপ্টেম্বর কমিশনার আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে ডিএসইর সিআরও এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কমিশনের এসআরআই বিভাগের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক ঊভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে আগামি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়।
ওই গৃহিত সিদ্ধান্তের মধ্যে ১ নম্বরে ছিল, প্রতি ট্রেকহোল্ডার বিনিয়োগকারীর চেক নগদায়নের পরে ক্রয় আদেশ বাস্তবায়ন করবে। এক্ষেত্রে ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বরের নির্দেশনা পরিপালন করতে বলা হয়েছিল।
ডিএসইর প্ররোচনায় বিএসইসির এমন হঠকারি সিদ্ধান্তের খবর বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বাজারে ছড়িয়ে পড়লে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যাতে ওইদিন ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর থেকে টানা পতনে রয়েছে বাজার। এই পরিস্থিতিতে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের দাবির আলোকে চেকে লেনদেন করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে যাচ্ছে বিএসইসি। এতে করে আপাতত শেয়ারবাজারের জন্য একটি বড় নেতিবাচক বিষয় কেটে যাবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান মরোক্কো সফর শেষে দেশে এসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে। সেটা আগামি সপ্তাহের শুরুর দিকে হতে পারে।
এর আগে ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর চেক ব্রোকারেজ হাউজের হিসাবে নগদায়ন বা জমা না হওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগকারী লেনদেন করতে পারবে না বলে বিএসইসি হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যাতে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এরফলে দুইদিনের মাথায় একই বছরের ৮ ডিসেম্বর সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে বাধ্য হয় তৎকালীন কমিশন।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, চেকে লেনদেন বন্ধ করার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাজারে তার কি প্রভাব পড়বে, সেটাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। অথচ দেশের শেয়ারবাজারে অধিকাংশ লেনদেনই হয় চেক জমা দিয়ে। যখন যার প্রয়োজন, সে বিনিয়োগ করে এবং চেক জমা দেয়। ফলে ব্রোকারেজ হাউজে টাকা না থাকলেও তাৎক্ষনিক বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু এইসব বিনিয়োগকারীদেরকে চেকে লেনদেন বন্ধের মাধ্যমে তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।