মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক’র ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিজেদের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড (এমটিবি)। গ্রাহক, পৃষ্ঠপোষক, এমটিবি’র কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে নিজেদের আস্থার বিশ্বস্ত পথচলার ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘২৩ বছরের আস্থার সম্পর্ক’ প্রতিপাদ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) ব্যাংকের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের জন্য ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এমটিবি।
রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে এমটিবি টাওয়ারের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এ প্রেস মিটে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্রুপ চিফ রিস্ক অফিসার, চৌধুরী আখতার আসিফ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব গ্রুপ আইসিসি, গৌতম প্রসাদ দাস, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও, মো: খালিদ মাহমুদ খান এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ক্যামেলকো, রেইস উদ্দীন আহ্মাদ। অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পর্কে জানানো হয়।
এর আগে সম্প্রতি, এমটিবি সেন্টারে কেক কেটে ব্যাংকের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আখতার আসিফ এবং ব্যাংকের ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, গৌতম প্রসাদ দাস, মো. খালিদ মাহমুদ খান ও রেইস উদ্দিন আহ্মাদ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এমটিবি টাওয়ার ও দেশজুড়ে এমটিবি’র বিভিন্ন শাখা ও উপ-শাখাকে নান্দনিকভাবে সাজানো হয় এবং এমটিবি’র কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনে গ্রাহক, অংশীজন ও কর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা কর্মসূচি আয়োজন করে এমটিবি। এ উদযাপনের অংশ হিসেবে, যারা বিগত ২৩ বছর ধরে এমটিবি’তে কাজ করছেন তাদের প্রচেষ্টা ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাকালীন এমটিবিয়ানদের ক্রেস্ট প্রদান করে। অন্যদিকে, ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন এমটিবিয়ানরা এমটিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের হাতে উপহার স্বরূপ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই তুলে দেন। এসব বই এমটিবি ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিতে দেয়া হবে, যাতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারেন।
এমটিবিয়ানদের জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালের সহযোগিতায় এমটিবি সেন্টার ও এমটিবি টাওয়ারে দু’টি হেলথ চেক আপ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এছাড়াও, এমটিবিয়ানদের জন্য এমটিবি টাওয়ারের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে সাইবার নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা ও নিজের সুরক্ষা’ নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি, এমটিবিয়ান ও ব্যাংকে আগত গ্রাহকদের জন্য এমটিবি সেন্টার-এর রিসিপশন লাউঞ্জে ফেয়ার ফুড অ্যান্ড লাইফস্টাইল লিমিটেড, ফেয়ার ইলেকট্রনিকস ও নিওফার্মার্স বাংলাদেশ লিমিটেড সহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের স্টল স্থাপন করা হয়। এসব স্টলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সপ্তাহজুড়ে আকর্ষণীয় ছাড় দেয়া হয়।
এমটিবি’র উপর গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন আস্থা রাখার জন্য তাদের প্রতি ধন্যবাদস্বরূপ এমটিবি চারটি রিয়েল স্টেট প্রতিষ্ঠান, চারটি অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান ও চারটি মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহব্যাপী ছাড় উপভোগের সুযোগ করে দেয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সপ্তাহে এমটিবি অঙ্গনা এমটিবি অঙ্গনা পে-রোল সেভার ও এমটিবি অঙ্গনা পে-রোল ই-সেভার অ্যাকাউন্ট উন্মোচন করে। এছাড়াও, স্টুডেন্ট ফাইল গ্রাহকদের জন্য কমপ্লিমেন্টারি এমটিবি এয়ার লাউঞ্জ অ্যাকসেস চালু করা হয়। পাশাপাশি, এমটিবি ভিজ্যুয়াল আইভিআর সেবাও উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “গত ২৩ বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতে এমটিবি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমটিবি এখন বিশ্বাস ও আস্থার অপর নাম। সবাই জানেন, এই ব্যাংক ভালোভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হয়। একজন গ্রাহকের যে ধরনের সেবা প্রয়োজন, তার সবই আমাদের রয়েছে। ফলে, কাউকে এই ব্যাংকে এসে ফেরত যেতে হয় না। এখন মানুষ অনেক বেশি ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ব্যাংক ব্যবসাকেও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা আলাদা ডিজিটাল ব্যাংকিং বিভাগ গড়ে তুলেছি এবং নিজস্ব প্রোগ্রামার নিয়োগ দিয়েছি। পাশাপাশি, আর্থিক প্রযুক্তিখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে একজোট হয়ে গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড-এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্রুপ চিফ রিস্ক অফিসার, চৌধুরী আখতার আসিফ বলেন, “আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পর্যায়ে কিছু সঙ্কটের কারণে আমরা একটি প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে, একসাথে কাজ করার মাধ্যমে আমরা বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব। এই ক্ষেত্রে, আর্থিক ব্যবস্থায় আস্থা বজায় রাখতে এবং আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সমন্বয় প্রয়োজন। আমার প্রত্যাশা, আমরা সবাই একযোগে কাজ করতে পারবো এবং আর্থিক ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধিতে নানা সমস্যা একসাথে সমাধান করতে পারবো।”