আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

সিএসএমই খাতেও ঋণ বিতরণে শর্ত শিথিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পখাতে পুনঃঅর্থায়নে স্কিমের আওতায় ঋণ বাড়াতে শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২৫ হাজার কোটি টাকার এ তহবিলে এখন থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন ও সেবা খাতে কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ এবং ব্যবসা খাতে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়ে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা নতুন করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। দেশের অর্থনীতির গতি চলমান রাখার লক্ষ্যে সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে উদ্যোক্তাদের মেয়াদি ঋণের পাশাপাশি চলতি মূলধন ঋণের চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক তাদের গ্রাহকদের সে চাহিদা পূরণে অর্থায়ন করার প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমানে উৎপাদন খাতের পাশাপাশি ব্যবসা খাতেও ঋণের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এ পেক্ষাপটে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেওয়া মেয়াদি ঋণসমূহ এ স্কিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদন ও সেবাখাতে দেওয়া মেয়াদি ঋণের পাশাপাশি চলতি মূলধন হিসেবে বিতরণ করা ঋণসমূহও এ স্কিমের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।

তবে প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের মোট বিতরণ করা ঋণের ৪০ শতাংশের বেশি চলতি মূলধন খাতে পুনঃঅর্থায়নের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না। চলতি মূলধন হিসেবে দেওয়া ঋণে কোনোভাবেই পণ্য মজুতের উদ্দেশে ব্যবহার করা যাবে না। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এ স্কিমের আওতায় তাদের বিতরণকৃত মোট ঋণের ন্যূনতম ৬৫ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে এবং সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ব্যবসা খাতে দিতে পারবে।

সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে একই দিন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণসীমা নিয়ে শর্ত শিথিল করে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ নির্দেশনা অনুযায়ী, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনে ব্যক্তি বা গ্রুপকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা পাঁচ বছরের জন্য স্থগিত থাকবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.