বাণিজ্যিক ব্যবহারের সুযোগ বাড়ল হুয়াওয়ের মাইনহারমোনি অপারেটিং সিস্টেমের
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফাইভজি+এআইয়ের সফল সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্প্রতি খনির জন্য বিশেষ অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) পরিবর্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে হুয়াওয়ে এই সমন্বিত অপারেটিং সিস্টেম বড় আকারের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে।
হুয়াওয়ে ও চায়না এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ১৩টি খনি ও একটি কয়লা শোধনাগারে মাইনহারমোনি ওএস সম্বলিত ৩,৩০০টি যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।
বিশেষভাবে, অপারেটিং সিস্টেমটি মঙ্গোলিয়ার অন্তরভুক্ত উলানমুলুন (উলান মোরান নামেও পরিচিত) খনির পুরোটা জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে; যেখানে কানেক্টিভিটি, ইন্টারফেস ও ডেটা অ্যাকসেসের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে।
অপারেটিং সিস্টেমটি সরঞ্জামগুলোর স্মার্ট নিয়ন্ত্রণ, নির্দিষ্ট সাইটের স্বয়ংক্রিয় টহল এবং অনলাইনে সরঞ্জামগুলো আপগ্রেড করার মতো নানা রকম উদ্ভাবনী পরিস্থিতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। ফলে আগে যে কাজ একদিনে হতো, এখন তা হবে মাত্র চার মিনিটে।
যেকোনো খনিকে ডিজিটালাইজ ও স্মার্ট খনিতে রূপান্তর করতে গেলে প্রথমেই কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয় এর মধ্যে রয়েছে- আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা, সরঞ্জামগুলোর আন্তঃকার্যক্ষমতা যাচাই করা এবং ডেটা ব্যবহারের সুযোগ না থাকার ঝুঁকি। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এর জন্য উপযুক্ত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি খুঁজে বের করা।
একটি নেতৃস্থানীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইওটি ওএস (ইন্টারনেট অব থিংস অপারেটিং সিস্টেম) হিসেবে মাইনহারমোনি কেবল বিভিন্ন সরঞ্জামের মধ্যে ইউনিফাইড প্রটোকলই নিশ্চিত করে না, পাশাপাশি দূরবর্তী পরিদর্শনের সাথে সম্পর্কিত কাজগুলোকেও সহজ করে তোলে এর ওপর ফাইভজি+এআই ভিডিও স্টিচিং প্রযুক্তির সাহায্যে খনির দূরবর্তী মেশিনগুলোকেও নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে, খনির ভূগর্ভস্থ কার্যক্রম এখন অফিসে বসেই দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এতে করে খনির নিরাপত্তার পাশাপাশি কর্ম-পরিবেশের উন্নতি হবে। এর মাধ্যমে সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খনির পরিদর্শন নিশ্চিত করা যাবে; পাশাপাশি খনির ভূগর্ভ পরিদর্শন কর্মীর সংখ্যা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা যাবে।
ভূগর্ভস্থ কয়লা খনিতে ভিন্ন ভিন্ন প্রটোকলের মাধ্যমে সকল ডিভাইস ও সরঞ্জাম লাগানো থাকে; এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সেগুলোকে সমন্বয়ের করার উপায় খুঁজে বের করা। এ কারণে, খনি খাতের সর্বপ্রথম আইওটি ওএস হিসেবে মাইনহারমোনি মাত্র তিন মাসে ডেভেলপ করতে হুয়াওয়ে’র মাইন টিম ও চায়না এনার্জি একসাথে ৩০টিরও বেশি সহযোগীদের সাথে কাজ করে।