আমাদের সীমাবদ্ধতা জানা থাকলে সাকিব এসব বলতেন না: বিসিবি সিইও
স্পোর্টস ডেস্ক : ‘আমি যদি বিপিএলের প্রধান নির্বাহী হতাম, তাহলে এক থেকে দুই মাসের মধ্যে সব ঠিক করে দিতাম’-বিপিএল নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সাকিব আল হাসান। দেশসেরা ক্রিকেটারের এমন মন্তব্যে তোলপাড় ক্রীড়াঙ্গনে।
খালি চোখেই দৃশ্যমান, বিপিএল দিনকে দিন জৌলুস হারাচ্ছে। ভারতের আইপিএল আর অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের তুলনায় তো বহুদূরে, পাকিস্তানের পিএসএল কিংবা ক্যারিবিয়ান সিপিএলের চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে বিপিএল। এমনকি নতুন এসে দক্ষিণ আফ্রিকা, আরব আমিরাত কিংবা লঙ্কান লিগও উন্নতি করে ফেলেছে, বিপিএল সেখানে পিছিয়েছে দিনকে দিন।
বিপিএলের মান, আকর্ষণ, উত্তেজনা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন অনেক কমে গেছে। নামি-দামি বিদেশি ক্রিকেটার নেই বললেই চলে। বিশ্বমানের কোনো কোচও নেই। আজকাল আম্পায়ারদের খেলা পরিচালনার মান উন্নত করতে এবং সিদ্ধান্তগুলো যত বেশি সম্ভব নির্ভুল করার জন্য বিশ্বজুড়ে ‘ডিআরএস’-এর প্রচলন আছে। কিন্তু বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে রবিন লিগে নেই কোনো ‘ডিআরএস’।
এত সব ঘাটতি ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিপিএলের নবম আসরের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল ৬ জানুয়ারি থেকে। সাকিব তো শুধু ম্যানেজম্যান্টকে ধুয়ে দেওয়াই নয়, বিপিএলের ড্রাফট থেকে শুরু করে সবকিছু নতুন করে করার দাবি তুলেছেন।
সাকিবের সে মন্তব্যে বিসিবির প্রতিক্রিয়া কি? বোর্ড ও বিপিএল কর্তারা বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন? তারা কি সাকিবের কথায় ক্ষুব্ধ? নাকি এটাকে গঠনমূলক সমালোচনা ভেবে বিপিএলের মান উন্নত করতে সচেষ্ট হবেন?
বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সাকিবের মন্তব্যর প্রেক্ষিতে কথা বলেছেন। তবে খুব ছোট করে। বিপিএলের টাইটেল স্পন্সরশিপ ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিসিবি সিইওর কাছে সাকিবের বিষয়টি তোলা হলে তিনি আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরে দুই লাইনে ছোট করে বলেছেন, ‘সাকিব কোন প্রেক্ষাপটে ওমন মন্তব্য করেছেন, তা আগে জানা দরকার। আমাদের সেটা জানা নেই। তবে সাকিব যদি বিসিবির সীমাবদ্ধতা জানতেন, তাহলে হয়তো এমন মন্তব্য করতেন না।’