ঢাকায় আসছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাসের মাঝামাঝিতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। সফরে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
একইসময়ে মানবাধিকার ইস্যুতে তাদের বক্তব্যও শুনবেন লু। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা সফরে উভয় দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও প্রসারিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি শ্রম ও মানবাধিকারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুনবেন মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।
সংবাদমাধ্যম বলছে, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামী ১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি ভারত ও বাংলাদেশ সফর করবেন। প্রথমে তিনি ভারতে যাবেন এবং সেখান থেকে আগামী ১৪ জানুয়ারি লু বাংলাদেশে আসবেন। তার সফরে জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম এবং মানবাধিকার-সহ বিভিন্ন ইস্যু অগ্রাধিকার পাবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম এবং মানবাধিকার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকের জন্য আগামী ১২-১৫ জানুয়ারি ভারত ও বাংলাদেশ সফর করবেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
ভারতে সহকারী এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ফোরামে অংশ নেবেন। জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা কিভাবে আরও প্রসারিত করতে পারে তা নিয়ে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথেও আলোচনা করবেন লু।
অন্যদিকে বাংলাদেশে থাকাকালীন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু আমাদের উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করতে এবং শ্রম ও মানবাধিকারের বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে ঊর্ধ্বতন বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করবেন।
এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সম্পর্কের যেকোনও শূন্যতা দূর করতে বাংলাদেশ ‘গঠনমূলক এবং অত্যন্ত ইতিবাচক’ রয়ে গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘অনেক ভালো সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চায়।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মতো একই মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করে এবং অনুসরণ করে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) সংক্রান্ত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোথাও ফাঁক বা দুর্বলতা থাকতে পারে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ যখন এই জাতীয় সমস্যাগুলো আমাদের সামনে উত্থাপন করে তখন আমরা সেগুলো সংশোধনে ব্যবস্থা নিয়েছি।’