আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

অসাম্প্রদায়িক চেতনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নেতাজী ও বঙ্গবন্ধু: ঢাবি উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশপ্রেমের অমলিন চেতনায় নেতাজী ও বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।

অখগু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ‘দেশপ্রেমের অমলিন চেতনায় নেতাজী ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা কথা বলেন।

দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ড. আখতারুজ্জামান বলেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে পরাধীন ভারতবর্ষকে মুক্ত করার সংগ্রাম করেছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের আপামর জনসাধারণকে মুক্তি সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন। উপাচার্য আরও জানান, মহান এই দুই নেতার সংগ্রামের অজানা নানা অধ্যায় তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ ধরনের আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের পক্ষে ‘বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ঐতিহ্যিক পরম্পরায় দুই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রভাব’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বরেণ্য নেতাজী বিশেষজ্ঞ ড. জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, নেতাজী-নজরুল-রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু অখগু বাঙালির গৌরব। সমকালীন জাতপাতের সংকট দূও করতে হলে এই চিরস্মরণীয় বাঙালিদের আদর্শেও যুগপৎ চর্চা অত্যন্ত জরুরি। আর এধ রনের চর্চার মধ্যদিয়েই বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক পদ্মা নদীতে নির্মিত সেতুর মতোই সুদৃঢ় হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমগুলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য জনাব ইকবাল হোসেন সবুজ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র জনাব ইকরামুল হক টিটু এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এবং পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। অনুষ্ঠান আহবায়কের বক্তব্য রাখবেন পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া। সবশেষে বরেণ্য রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং তার দল সুরের ধারার শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.