১-৭ মার্চ মোবাইলে কল করলেই শোনা যাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উপলক্ষে এবার ১ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত মোবাইল ফোনে কল করলেই শোনা যাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ভাষণের একটি নির্দিষ্ট অংশ। দেশের সব মোবাইল অপারেটর গ্রাহকের ফোনে ওয়েলকাম টিউন হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের একটি অংশ বাজনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস’ উদযাপনের কর্মসূচি প্রণয়ন সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে সম্প্রতি সচিবালয়ে এ সভা হয়। সভার কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মোবাইল ফোনে ওয়েলকাম টিউন বাজানোর এ সিদ্ধান্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
এছাড়া ১ মার্চ থেকে ৭ মার্চ সব সরকারি ও বেসরকারি রেডিও এবং টেলিভিশন চ্যানেলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো), সরকারি/বেসরকারি রেডিও এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। সভায় এমন সিদান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই সভায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য অনেক গভীর। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো ঐতিহাসিক এই ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এ ভাষণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে দেওয়া ভাষণের দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি উদযাপনের উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলে উল্লেখ রয়েছে। বিষয়ভিত্তিক বণ্টনের আওতায় প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটি উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দিবসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সচেতনতা আগামী প্রজন্মের মধ্যে যথাযথভাবে সঞ্চার করার লক্ষে ওই কর্মকাণ্ডে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবসের প্রভাতে ধানমন্ডির ৩২নং সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সশরীর বা অনলাইন উপস্থিত থাকার জন্য তার কাছে সার-সংক্ষেপ পাঠানো হবে। ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও মাদরাসায়ও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষভাবে তত্ত্বাবধান করতে হবে বলেও সভায় জানানো হয়।