আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

বিশ্বকাপটা ম্যারাডোনার হাত থেকে নেওয়ার ইচ্ছে ছিলো মেসির

স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচেছে। একটি বিশ্বকাপ ট্রফির আক্ষেপ ঘুচেছে ফুটবলের সব কিছু অর্জন করা লিওনেল মেসির। কিন্তু মেসির মনে একটি কষ্ট রয়েই গেছে, পূর্বসূরী ডিয়েগো ম্যারাডোনা যে তার এই সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না!

১৯৮৬ সালে এই ম্যারাডোনার হাত ধরেই বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর কেটে যায় ৩৬টি বছর। একটি ট্রফির জন্য পুরো আর্জেন্টিনার ফুটবলেই ছিল হাহাকার।

ম্যারাডোনা পরে কোচ হয়েছেন, চেষ্টা করেছেন খেলোয়াড়ি জীবনের মতো জাদু দেখাতে। কিন্তু পারেননি। ম্যারাডোনার কোচিংয়ে ২০১০ বিশ্বকাপে খেলে আর্জেন্টিনা, ছিলেন মেসিও। কিন্তু কিংবদন্তির হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিতে পারেননি মেসি।

দেশের ফুটবল নিয়ে ম্যারাডোনার আবেগ এতটাই ছিল, আর্জেন্টিনা হারলে তিনি মাঠের বাইরে বসে হাত-পা ছুড়তেন। দল ভালো খেললে আনন্দে এসে জড়িয়ে ধরতেন মেসিদের, কপালে এঁকে দিতেন চুমু।

সেই ম্যারাডোনা কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। দেখতে পারেননি সোনালি ট্রফি হাতে মেসিদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। বেঁচে থাকলে হয়তো ম্যারাডোনার চেয়ে খুশি কেউই হতেন না। কিন্তু সেই দিনটা দেখে যেতে পারলেন না ছিয়াশির মহানায়ক।

মেসির মনে কষ্টটা রয়ে গেছে বিশ্বকাপ জেতার পরও। প্যারিসে অ্যান্ডি কুজনেটজফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘চেয়েছিলাম ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাত থেকে কাপটা নিতে। নিদেনপক্ষে তিনি যদি এসব দেখে যেতে পারতেন!’

মেসি যোগ করেন, ‘তিনি যদি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেখতেন! তিনি যে কত করে এটা চেয়েছিলেন। তিনি জাতীয় দলকে ভীষণ ভালোবাসতেন। আমার মনে হয়, যারা আমাকে ভালোবেসেছে, শক্তি-সাহস দিয়েছে, তার মতো কেউই হবে না।’

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.