আজ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

৪ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, আরও বাড়তে পারে শীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়ে দেশের চার জেলায় ফের শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রাতের তাপমাত্রা আরও কমে শীত বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সম্প্রতি তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে শীত প্রায় দূর হয়ে গিয়েছিল। এরমধ্যে শীত বাড়ার পূর্বাভাস দেয় আবহাওয়া বিভাগ। একদিনের ব্যবধানে দেশের সব অঞ্চলে তাপমাত্রা কমে গেছে। কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা কমে গেছে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বইছে হিমেল হাওয়া। শীত অনুভূত হচ্ছে ঢাকাতেও।

একদিনের ব্যবধানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাড়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমে গেছে।

বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ তা কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।

ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীলঙ্কা উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি আরও পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

নীলফামারী, পাবনা, দিনাজপুর ও কুঁড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে বজলুর রশিদ বলেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সীতাকুণ্ড ও কক্সবাজারে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.