এইচএসসিতে ৫০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাস করেনি কেউ
নিজস্ব প্রতিবেদক : উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আজ (বুধবার) প্রকাশিত হয়েছে। এবারে পরীক্ষায় ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করেনি।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯ হাজার ১৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার ২৮টি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৩৩০ টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করলেও ৫০টি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।
এরমধ্যে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে সবচেয়ে বেশি ফেল করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩টি। এছাড়া রাজশাহীতে ৯টি, ঢাকায় ৮টি, যশোরে ৬টি, কুমিল্লায় ৫টি এবং ময়মনসিংহে ৩টি প্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল করেছেন।এছাড়া ৪টি মাদরাসা ও ২টি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছেন।
পাশের হার ও জিপিএ ৫ : নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন। রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯১ জন শিক্ষার্থী। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭১ জন। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮৬ জন শিক্ষার্থী।
যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭০৬ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ০৬ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ জন শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১৭৯ জন।
এছাড়া কারিগরি বোর্ডে পাস করেছেন ৯১ দশমিক ০২ শতাংশ শিক্ষার্থী, এ বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থী।
এর আগে, উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে শেখ হাসিনা এ ফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।