রান তাড়ায় ঝড়ের গতিতে ছুটছে বাংলাদেশর দলে ফেরা রনি তালুকদার
স্পোর্টস ডেস্ক : লক্ষ্য ১৫৭ রানের। শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ইংলিশ বোলারদের রীতিমত আতঙ্কে রেখেছেন আট বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার আর ড্যাশিং লিটন দাস।
উদ্বোধনী জুটিতে ২১ বলে ৩৩ রান তোলেন রনি আর লিটন। আদিল রশিদের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হন রনি। ১৪ বলে করেন ২১ রান।
এরপর অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয় আর নাজমুল হোসেন শান্তও দারুণ ব্যাটিং করছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভারে ২ উইকেটে বাংলাদেশ তুলেছে ৮২ রান। শান্ত ১৬ বলে ৩৪ আর হৃদয় ৮ বলে ১৪ রানে অপরাজিত আছেন।
লিটন অবশ্য ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ১০ বলে ১২ করে আর্চারের বলে ক্যাচ দেন মিডঅনে। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৫৪ রান তোলে টাইগারররা।
এর আগে ১৬ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৩৫। সংগ্রহটা বেশ বড় হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করলেন হাসান মাহমুদ। ভালো করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদরাও।
১৭ থেকে ১৯-এই তিন ওভারে মাত্র ১২ রান নিতে পেরেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে হাসান মাহমুদের দুই ওভারে ইংলিশরা তুলতে পারে মাত্র ৫ রান। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানেই থেমে যায় জস বাটলারের দল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসভাগ্য ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুটা একদমই ভালো ছিল স্বাগতিকদের।
ওপেনার ফিল সল্ট আর জস বাটলার ১০ ওভারের ওপেনিং জুটিতেই তুলে ফেলেন ৮০ রান। সল্টকে (৩৫ বলে ৩৮) উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে জুটিটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ।
এরপর সাকিবকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅনে ধরা পড়েন ডেভিড মালান (৪)। বাটলার তবু হাত খুলে খেলে যাচ্ছিলেন। হাসান মাহমুদকে ছক্কা মেরে ৩২ বলে ফিফটি করেন, পরের বলে হাঁকান আরেকটি ছক্কা।
বেন ডাকেটও শুরুটা ভালো করেছিলেন। ১৩ বলে ২০ করা এই ব্যাটারকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। তখনও ইংল্যান্ড বেশ ভালো অবস্থানে ছিল। ১৬ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ছিল ১৩৫ রান।
বিজ্ঞাপন
হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। সাকিব সমান ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। মোস্তাফিজ ১ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৩৪ রান। তাসকিন ১ উইকেট পেতে ৩৫ এবং নাসুম আহমেদ দেন ৩১ রান।