এসএমই ফাউন্ডেশনের সুবিধা পেয়েছেন ১২ হাজার উদ্যোক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক : এসএমই ফাউন্ডেশনের সুবিধা পেয়েছেন ১২ হাজার উদ্যোক্তা করোনা মহামারী চলাকালীন সময়েও গত অর্থবছরে (২০২১-২২) এসএমই ফাউন্ডেশনের গৃহীত কর্মসূচির সরাসরি সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ১২ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বেশি।
এছাড়া করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের ৩০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ শেষে প্রত্যাবর্তনকৃত অর্থে গঠন করা ‘রিভলভিং তহবিল’ থেকে ঋণ বিতরণ চলছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। তিনি আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরো অর্থ প্রয়োজন।’
রোববার রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই ফাউন্ডেশনে ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিচালক পর্ষদ এবং সাধারণ পর্ষদের সদস্যদের কাছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাস্তবায়িত কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন ফাউণ্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান।
ড. মো. মফিজুর রহমান জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণ, পণ্য বাজারজাতকরণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং দেশে ও বিদেশে উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ সংক্রান্ত এসএমই ফাউন্ডেশনের নানামুখী কার্যক্রমের সরাসরি সুবিধা পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৮০জন উদ্যোক্তা। এর মধ্যে নারী-উদ্যোক্তা ৫৬৫২জন, পুরুষ উদ্যোক্তা ৬২২৮জন।
তিনি বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে ৯ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ-৩টি বিভাগে বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলা এবং ৪র্থ হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল ২০২২ আয়োজনের পাশাপাশি নেপালে আন্তর্জাতিক মেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে সহায়তা করে এসএমই ফাউন্ডেশন, যা উদ্যোক্তাদের পণ্য বাজারজাতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
এছাড়া আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উদযাপন, ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মিলন আয়োজন, উদ্যোক্তা-ব্যাংকার ঋণ ম্যাচমেকিং ও ফাইনান্সিয়াল লিটারেসি কর্মশালা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে এসএমইবান্ধব বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন, উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, সেমিনার, কর্মশালা, মতবিনিময় সভা, ওয়েবিনার, এসএমই খাতের উন্নয়নে গবেষণাসহ ৬৬০টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ফাউন্ডেশন।
পরিচালক পর্ষদের প্রতিবেদনের ওপর মতামত ও সুপারিশ প্রদান করেন সাধারণ পর্ষদের সদস্যরা। তারা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে আরো এসএমই উদ্যোক্তাকে এসব কর্মসূচির আওতায় আনতে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দেরও দাবি জানান তারা।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ২০২১-২২ অর্থবছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের ওপর পরিচালক পর্ষদের প্রতিবেদন উপস্থাপন ও গ্রহণ, নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী ও নিরীক্ষকের প্রতিবেদন অনুমোদন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়। ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ এবং সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।