ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩০ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন কর্মদিবসে পতন আর দুই কর্মদিবস উত্থানের মধ্য দিয়ে মার্চ মাসের আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে।অপরদিকে যেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় কমেছে সূচক এবং লেনদেনও।
বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) কমেছে ৪৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৬০৭ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকায়। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৪৮৩ কোটি ৭৪ লাখ কমেছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ১ হাজার ৭৬২ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে হয়েছিল ২ হাজার ৫৪০ কোটি ১০ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৭৭৮ কোটি ৭ লাখ কমেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক .৭৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২১৮ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২৮২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৮টির , কমেছে ৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬১টির শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনে ছিল একই চিত্র। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩১৮ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ৪৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।