দিল্লি পাবলিক স্কুলে মডেল ইউনাইটেড নেশনসের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্র্যাক ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদ: ঢাকার দিল্লি পাবলিক স্কুল (DPS)-এ মডেল ইউনাইটেড নেশনস (DPSIMUN VI) আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
০৯-১২ মার্চ ২০২৩ ঢাকার দিল্লি পাবলিক স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের ৬৫টি স্কুলের মোট ৭৫০ জন শিক্ষার্থী এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা।
জাতিসংঘ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা অর্জন, বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান প্রদান এবং শান্তি ও জাতিসংঘ-এর প্রচারণার লক্ষ্যে, বিশ্বব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মডেল ইউনাইটেড নেশনস আয়োজন করা হয়।
মত বিনিময় ও জ্ঞান আদান-প্রদানের পাশাপাশি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ-সমূহ এবং সেগুলো সমাধানের উপায়ের উপর গুরুত্ব প্রদান করা এই প্ল্যাটফর্মে। তরুণ প্রজন্ম বর্তমান অবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান জানাতে পারে। মডেল ইউনাইটেড নেশনস এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা তরুণদের সৃজনশীলতা, সাহস এবং প্রতিশ্রুতিকে লালন করে। আলোচনা এবং তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে তরুণরা সকলের জন্য আরো যথাযথ, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় আরও বেশি অবদান রাখতে পারে।
UNSC, NATO, WHO, এবং UNHRC-সহ ১৭টি কমিটিতে বিভক্ত ছিল DPSIMUN VI, যেখানে ৩৫টি এজেন্ডা উপস্থাপন করেছিলেন প্রতিনিধিরা। সম্মেলনে কমিটি সভাসমূহের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
১২ মার্চ ২০২৩ হোটেল লা মেরিডিয়ান-এ সমাপনী অনুষ্ঠানে এসটিএস ক্যাপিটাল-এর সিইও মানস সিং, ব্র্যাক ব্যাংক-এর হেড অব স্টুডেন্ট ব্যাংকিং অ্যান্ড উইমেন ব্যাংকিং মেহরুবা রেজা এবং বাংলাদেশ জাতিসংঘ অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটির ইভেন্ট পার্টনার ছিল ব্র্যাক ব্যাংক-এর স্টুডেন্ট ব্যাংকিং ‘আগামী’। একটি স্টল স্থাপন করে সম্মেলনের পুরো সময় জুড়ে পণ্যটির প্রচার করে ব্যাংকটি।
এ উপলক্ষ্যে মেহরুবা রেজা বলেন, “এই মডেল ইউনাইটেড নেশনস বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা করার ক্ষমতা, সৃজনশীলতা, সহযোগিতা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ এবং বৈশ্বিক নানান বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিকে উৎসাহিত করে। আমাদের স্টুডেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস ‘আগামী’ শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার সম্ভাবনা বাস্তবায়নে সাহায্য করে। ব্র্যাক ব্যাংক সব সময় তরুণদের সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে এবং শিক্ষার্থীদের বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সহায়তা করার জন্য সামাজিক সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করে।”