শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটে ফেরিতে মোটরসাইকেল পারাপার শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে ফেরিতে মোটরসাইকেল পারাপার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে মোটরসাইকেল পারাপার শুরু হয়। এতে মোটরসাইকেল প্রতি ভাড়া পড়ছে ১৫০ টাকা এবং যাত্রী প্রতি ৩৬ টাকা।
শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরি কলমিলতা শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে যায়। ফেরিটি পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে অতিক্রম করে দেড় ঘণ্টা পর মাঝিকান্দি ঘাটে পৌঁছায়। তবে মাঝিকান্দি ঘাট এলাকায় কিছু অংশে নাব্য সংকট রয়েছে।
জামাল হোসেন বলেন, নাব্য সংকট নিরসন, পন্টুন, আজ থেকে প্রতিদিন ভোর ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর মোটরসাইকেল পারাপার করা হবে। তবে মোটরসাইকেলের চাপ বেশি থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে ফেরি ছেড়ে দেওয়া হবে। গাড়ির চাপ বেশি থাকলে প্রয়োজনে ফেরির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার অধিকাংশ মানুষ ঢাকামুখী। তারা যেন মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে বাড়ি যেতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে বর্তমানে ফেরি কুঞ্জলতা ও কলমিলতা দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি)। এসব ফেরিতে প্রতি ট্রিপে ১৫০ মোটরসাইকেল পার হতে পারবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ফেরিতে মোটরসাইকেল পারাপার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিমুলিয়ায় মোট ৪টি ফেরিঘাটের মধ্যে ভিআইপি ফেরিঘাটটি (৪ নম্বর) মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
২৬ জুন সকাল থেকে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দিলে ওই দিন বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই জন নিহত হয়। ২৬ জুন এক নোটিশের পরিপেক্ষিতে ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার।
নিরাপত্তার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও এরমধ্যেই পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলের অনুমতি দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।