ক্রেতার চাপে শেয়ারবাজার উত্থান
মার্জিন ঋণের শর্তে পরিবর্তন আনলো বিএসইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্জিন ঋণের শর্তে পরিবর্তন এনেছে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শর্তসাপেক্ষে ৫০ মূল্য-আয় অনুপাত (পাই) পর্যন্ত শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ নিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সই করা এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এ নির্দেশনা অনুসারে, টানা তিন বছর ধরে ‘এ’ গ্রুপে অবস্থান করা যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি, সেসব কোম্পানির শেয়ারে মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে।
এ ধরনের শেয়ারকে মার্জিনেবল শেয়ার হিসেবে বিবেচনা করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মঙ্গলবার সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের দিন থেকে এদিনে দুই স্টকের লেনদেন পরিমান বেড়েছে। উভয় স্টকে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান বেশি হয়েছে। বেড়েছে ক্রেতার চাপ।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ৫৫৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস রবিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে।
এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৭৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ৮১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২০২ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭২টি এবং কমেছে ৪৪টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৯৫টির।
অপরদিকে, অপর শেয়ারবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস সোমবার ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৬টি, কমেছে ২৬টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৬টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১২ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৫৩ দশমিক ৭০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৫৩ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৪ দশমিক শূন্য ৫৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪০২ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৯৯ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৫১ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে।