আইপিএলের মাঝপথে ফেরা লিটন পুরো টাকা পাবেন?
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে লিটন দাসের ডাক পাওয়ার সময়টা ছিল স্বপ্নের মতো। এরপর সময় গড়াতে থাকলেও, কিছুতেই যেন অপেক্ষার অবসান ঘটে না। আইপিএলে যোগ দিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে নাটকীয়তা কম হয়নি। সমস্ত নাটক শেষে লিটন যোগ দেন কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। এরপর দুই ম্যাচ ডাগআউটে কাটানোর পর আসে মাঠে নামার কাঙ্ক্ষিত সেই মুহূর্ত। কিন্তু সেটিই তার প্রথম ও শেষ আইপিএল ম্যাচ। পারিবারিক কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে।
পাঁচ ম্যাচ কলকাতা দলের সঙ্গে ছিলেন লিটন। একাদশে সুযোগ পাওয়ার আগে দুই ম্যাচ এবং পরে দুই ম্যাচ ছিল তার বিষাদভরা মুহূর্ত। লিটনের জরুরি পারিবারিক ডাক আসায় কঠিন সেই অভিজ্ঞতার ইতি ঘটেছে। এক ম্যাচ সুযোগ পেলেও, ব্যাট ও উইকেটের পেছনে লিটনের পারফরম্যান্স তিনি নিজেও হয়তো ভুলে যেতে চাইবেন। তাই বলে মাত্র এক ম্যাচ এই ক্লাসিক ব্যাটারের কপালে জুটবে সেটি কেইবা ভেবেছিল!
তবে এখন একটিই প্রশ্ন ক্রিকেটভক্তদের মুখে। পুরো আসরে না থাকা লিটন কী কলকাতার সঙ্গে চুক্তির পুরো টাকা পাবেন? আগে থেকেই জানা ছিল লিটন পুরো আইপিএল আসর খেলতে পারবেন না। এরপরও ৫০ লাখ রুপিতে দলে ভেড়ায় কলকাতা। যদিও চুক্তি ছিল পুরো প্রথম রাউন্ড খেলার। তবে আসরের প্রথম সময়টাতে আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা থাকায় যোগ দিতে পারেননি এই ডান-হাতি ব্যাটার। এরপর যোগ দিলেও প্রথম রাউন্ড শেষ হওয়ার মাঝপথেই তাকে ফিরতে হয়েছে।
আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার যদি দেশের হয়ে খেলার জন্য পুরো আইপিএলে দলের সঙ্গে না থাকতে পারেন, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে পুরো বেতন দেওয়ার ব্যাপারে দায়বদ্ধ নয়। এক্ষেত্রে যতগুলো ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে (খেলা এবং না খেলা মিলিয়ে), তত ম্যাচের জন্য তাকে টাকা দেওয়া হবে।
অন্তত ১৪টি ম্যাচে খেলার জন্য (কোয়ালিফায়ার বাদ দিয়ে) ৫০ লাখ রুপি দিয়ে লিটনকে কেনা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রতি ম্যাচে লিটনের প্রাপ্য ছিল আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ রুপির মতো। সে হিসেবে পাঁচ ম্যাচ দলের সঙ্গে থাকায় লিটন সাড়ে ১৭ লাখ রুপির মতো পেতে পারেন। সেখান থেকে কর বাবদ টাকা কাটা হবে। তবে সবমিলিয়ে লিটন কতটা টাকা পাবেন, সেটা জানা কার্যত অসম্ভব। এটি পুরোপুরি ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ক্রিকেটারের মধ্যে তাদের বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করছে।
এক ম্যাচের পরই লিটনের চলতি আইপিএল অধ্যায়ের ইতি টেনেছেন অনেকেই। অবশ্য খুব বেশি খেলার সুযোগও পেতেন না। লিটনের অনাপত্তিপত্র নেওয়া ছিল ২ মে পর্যন্ত। পরবর্তীতে আরো ২ দিন তিনি ছুটি বাড়িয়ে নেন। তবে সেই নিদিষ্ট সময়ের আগেই দেশে ফিরলেন তিনি। আগামী ৫ মে ইংল্যান্ডের চোমসফোর্ডে যোগ দেওয়ার কথা ছিল লিটনের। কিন্তু তার আগেই পারিবারিক কারণে লিটন আইপিএল যাত্রায় দাঁড়ি বসিয়েছেন।
কলকাতার মিডিয়া বিভাগ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘২৮ এপ্রিল (শুক্রবার) জরুরি পারিবারিক কারণে লিটন দাসকে বাংলাদেশে ফিরে যেতে হয়েছে। এই কঠিন সময় পেরিয়ে যেতে তার ও তার পরিবারের জন্য আমাদের শুভকামনা।’