মুনাফায় ফিরেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল
নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে ( জানুয়ারি-মার্চ ) মুনাফায় ফিরেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানি সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) পরিচালনা পরিষদের সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে,চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা এবং শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১৪ পয়সা।তবে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান ছিল ১ কোটি
৬৪ লাখ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৫৯ পয়সা।
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড চলতি বছর থেকে ভাল ব্যবসার প্রত্যাশা করছে। বেশ কিছু সমস্যার কারনে সাম্প্রতিক সময়ে ভাল ব্যবসা না করতে পারার সমস্যা অনেকাংশ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। এজন্য চলতি বছর থেকে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড ভাল ব্যবসার প্রত্যাশা করছে।
সাম্প্রতিক সময় পেট্রোলিয়াম-জাতীয় পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড।
পেট্রোলিয়াম-জাতীয় পণ্য যেমন হাইড্রো-কার্বন সলভেন্ট বিক্রির জন্য বিপিসির সঙ্গে চুক্তি করেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল। চুক্তি অনুয়ায়ী আগামী তিন বছরের জন্য বিপিসি প্রতিষ্ঠানটি থেকে হাইড্রো-কার্বন সলভেন্ট গ্রহণ করবে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির প্লান্টের সক্ষমতা যাচাই-বাছাই শেষে এ চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ন্যাফথা থেকে উচ্চমানের দ্রাবক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি গত ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ন্যাফথা থেকে উচ্চমানের দ্রাবক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে। কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, তারা ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড থেকে জাপানে নির্মিত নিজস্ব মালিকানাধীন তেল ট্যাংকারের মাধ্যমে ন্যাফথার (কাঁচামাল) প্রথম পার্সেল পেয়েছে। এই তেল ট্যাংকার ন্যাফথার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে জানা গেছে।
এর আগে কোম্পানিটি দুই হাজার ৭৩ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাপানে তৈরি একটি তেল ট্যাংকার কেনার জন্য মেসার্স এমএ বাশার অ্যান্ড ব্রাদার্সের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। মূলত এই তেল ট্যাংকারের মাধ্যমে কোম্পানিটি ন্যাফথার গুণগত মান, পরিমাণ, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ন্যাফথা আনতে বহন বাবদ যে খরচ হয়, সেটি অনেকটাই সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি ট্যাংকারটির মাধ্যমে অন্যান্য কোম্পানির পণ্য পরিবহন করে অতিরিক্ত আয় করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও কোম্পানিটির মাদার ভেসেল বা মূল জাহাজ থেকে স্টোরেজ ট্যাংকে কনডেনসেট পরিবহনেও এ তেল ট্যাংকারটি ব্যবহার করতে পারবে এবং এটি কনডেনসেটের পরিবহন খরচও বাঁচাবে।
কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।