আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ মে ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনজুড়ে বাড়ছে রাশিয়ার হামলা। সঙ্গে বাড়ছে ইউক্রেনের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি। এছাড়া ইউক্রেনের পাল্টা হামলার পরিকল্পনায় সামনের সপ্তাহগুলোতে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের আকার ১২০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের হতে পারে। মঙ্গলবার (৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জন্য ১.২ বিলিয়ন বা ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবারই এই সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে।

রয়টার্স বলছে, নতুন এই সহায়তা প্যাকেজে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, গোলাবারুদ এবং প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন।

তিনি আরও বলেছেন, নতুন এই সহায়তায় ১৫৫-মিমি হাউইৎজার গোলাবারুদ, কাউন্টার-ড্রোন গোলাবারুদ এবং উপগ্রহ চিত্রের জন্য অর্থায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল পাবে ইউক্রেন।

এদিকে সহায়তা প্যাকেজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিসট্যান্স ইনিশিয়েটিভ (ইউএসএআই) তহবিল থেকে পরিশোধ করা হবে। মূলত এই তহবিলই মার্কিন অস্ত্রের মজুদ থেকে সমরাস্ত্র নেওয়ার পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে শিল্প থেকে অস্ত্র কেনার অনুমতি দিয়ে থাকে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। আর আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া যুদ্ধ শুরুর বছরখানেকের মাথায় এসে ইউক্রেনকে ট্যাংক দিয়ে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য।

অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামরিক জোট ন্যাটোর কাছে শুধু ট্যাংক নয়, যুদ্ধবিমানও চাইছেন। তবে এখনও কোনও দেশই তা দেওয়ার স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়নি। আব্রামস বা লিওপার্ডের মতো ট্যাংক এবং এফ-১৬ এর মতো যুদ্ধবিমান দেওয়া হলে তা ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে।

তবে অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, এসব সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন রাশিয়ার বিরুদ্ধে রণক্ষেত্রে ইউক্রেনকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যাবে তাই নয়, তেমন কিছু হলে পশ্চিমা বিশ্ব বা ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোকেও এ যুদ্ধে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে ফেলবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.