আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল টোঙ্গা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২১০ কিলোমিটার গভীরে। অবশ্য শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম রেডিও নিউজিল্যান্ড। এছাড়া পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্সও টোঙ্গায় ভূমিকম্পের খবর নিশ্চিত করেছে। তবে সেখানে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৪ ছিল বলে জানানো হয়েছে।

রেডিও নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, টোঙ্গায় ৭.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। ভূমিকম্পটি নিউজিল্যান্ড সময় ভোর ৪টায় আঘাত হানে।

টোঙ্গার হিহিফো থেকে ৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমে এই ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল বলেও জানিয়েছে ইউএসজিএস। আর ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ২১০ কিলোমিটার গভীরে।

এদিকে মার্কিন সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। অবশ্য ভূমিকম্পের পর নিউজিল্যান্ড সময় ভোর সাড়ে চারটায় ৫.১ মাত্রার আফটারশক হয়।

হিহিফো হলো টোঙ্গার প্রধান দ্বীপাঞ্চলের উত্তরে অবস্থিত নিউয়াটোপুটাপু দ্বীপের প্রধান গ্রাম। আর ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ওয়ালিস ও ফুতুনা এবং সামোয়ার দক্ষিণে।

অ্যাঞ্জি পুলা লেটুলিগাসেনোয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, পাগো পাগো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ইলিলিতে কম্পন ২০ বা ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু তিনি জানতেন, কম্পন আসলে তার চেয়েও অল্প সময় ধরে হয়েছিল।

ভূমিকম্প তাকে ঘুম থেকে জাগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার শেলফ থেকে কয়েকটি জিনিস নিচে পড়ে যায়। জানালাগুলো কাঁপছিল এবং এটিই ছিল ভীতিকর। তাই আমি বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ি এবং দ্রুত প্রার্থনা করি।’

এর আগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির সমুদ্রতলের আগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের পর অগ্নুৎপাত শুরু হয়। অগ্নুৎপাতের কারণে দেশটিতে সুনামিও আঘাত হানে। এতে টোঙ্গায় এক ব্রিটিশ নাগরিকসহ অন্তত তিনজন নিহত হন।

সেই সময় টোঙ্গায় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় হাজার মাইল দূরের যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ডেও। এছাড়া টোঙ্গায় সমুদ্রের তলদেশে অগ্নুৎপাতের কারণে পেরুর রাজধানী লিমার কাছের সমুদ্র সৈকতেও হঠাৎ অস্বাভাবিক পানির ঢেউয়ের তোড়ে সেসময় দু’জন ভেসে যান।

অগ্নুৎপাত এবং সুনামির আঘাতের পর থেকে প্রায় প্রত্যেকদিনই টোঙ্গায় ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে বলে সেসময় জানিয়েছিল ইউএসজিএস।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.