আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ মে ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করাই ভবিষ্যতের  সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শনিবার (২০ মে) রাজধানীর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ অন এনার্জি স্ট্র্যাটেজি: টুওয়ার্ডস আ প্রেডিক্টেবল ফিউচার’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, শুরু থেকেই আমাদের গ্যাস নিয়ে কোনো সু-পরিকল্পনা হয়নি। যখনই গ্যাস পাওয়া গেছে, বলেছে ভাই দিয়ে দেন। কোথায়? বাড়িতে। আমরা গ্যাস কী পরিমাণে ইমপোর্ট করব, কীভাবে করব, কিছুই ঠিক করা হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে আমদানিযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ হবে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার ঘনফুট। ২০৩০ সালে যা বেড়ে দাঁড়াবে ৫ থেকে ৬ হাজার ঘনফুটে। গত ১৩ বছরে গ্যাসের চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। এখনও অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ কারখানা গ্যাস সংযোগ চাচ্ছে।

নসরুল হামিদ বলেন, অপরিকল্পিত কারখানার কারণে গ্যাস সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। প্রতিদিন আমরা অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্ন করছি, আবার প্রতিদিন নিচ্ছে। একটা কূপ খনন করতে ৯-২৫ মিলিয়ন ডলার লাগে। তারপরও আপনি গ্যাস নাও পেতে পারেন। বর্তমান ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ভোলা থেকে গ্যাস আনার চেষ্টা করছি। ওখানে পাইপলাইন নেই। আমরা চেষ্টা করছি অন্তত সিএনজি করে যাতে আনা যায়।

আমি আরও ৮ হাজার ঘনফুট গ্যাস আনলেও কাভার হবে না। ৭০০ থেকে ৮০০ ঘনফুট গ্যাস আমদানি করতে ৪ বিলিয়ন ডলার লাগবে। এই টাকাটাও একটা বড় অংক। টাকাটা কীভাবে আসবে, সেটাও আমাদের ভাবতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো গ্যাস আমরা আরও কীভাবে বাড়াতে পারি। আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা আছে। বিভিন্ন ইকোনমিক জোনে আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করে যাচ্ছি। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের লক্ষ্য ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন। এই চ্যালেঞ্জিং বাজারে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি এতে বড় ভূমিকা রাখবে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ডিসিসিআই’র সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এছাড়া মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ফয়সাল করিম খান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী, এফআইসিসিআই’র সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান প্রমুখ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.