আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২১ মে ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

জ্বালানি সরবরাহ প্রযুক্তি আরও উন্নত করতে হবে : নসরুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, শুধু সরবরাহ নয়, আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক ধীরগতি রয়েছে, এ কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। টেকনোলজি আরও আপডেট হতে হবে।

রোববার (২১ মে) হাইড্রোকার্বন ইউনিট আয়োজিত বাংলাদেশের স্মার্ট জ্বালানি পরিকল্পনা শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, অনেকে মনে করেন আমি টেকনোলজি জানি না, কীভাবে চলব। তাদের ভয়ের কিছু নেই, আমরা অনেকে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে মোবাইল ব্যবহার শিখছি। আপনি পারছেন না, আপনার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের শিখিয়ে নিন। আরও কীভাবে উন্নত সেবা দেওয়া যায় সেটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি আমরা।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন চালু হলে তেল সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে পারব। এখন যেভাবে বার্জে করে আনা হয়, এতে একদিকে যেমন সময় বেশি লেগে যায়, অন্যদিকে ভেজাল মেশানোর ভয় থেকে যায়। পাইপলাইনে তেল আসলে কোনো রকম ভেজাল মেশাতে পারবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে আমি মনে করি কোনটি হলে জনগণের ভালো হবে, সেটা নিশ্চিত করা। জ্বালানির ক্ষেত্রে যদি বলি, কতটা নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও মানসম্মত দিতে পারছি। আমরা যা দিতে চাচ্ছি, ঠিকমতো সেটা সরবরাহ করতে পারছি কিনা। ৩ মাসের বিল আপনারা এফডিআর করে রাখছেন কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন, সরবরাহ দিতে পারছেন না। নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দিতে ব্যর্থ হলে তার জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে। ভবিষ্যতে সেবাকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে অনেকে মনে করে আইটি নির্ভর বাংলাদেশকে। টেকনোলজি স্মার্ট বাংলাদেশের একটি উপাদান মাত্র, সেবার জায়গাটা যদি সহজ করতে না পারি তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে না।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ বলেন, এতদিন আমরা চলেছি ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতিতে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত তেলের ডিপোগুলোর কাজ হয় অনেকটা পুরনো ধাঁচে। আমরা এগুলোকেও আধুনিকায়ন করার কাজ শুরু করেছি। আমাদের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বাস্তবায়ন হলে, প্রতিবছর ৮ থেকে ৯০০ কোটি টাকা খরচ কমে আসবে। জনগণের সেবা সহজ এবং নিরবচ্ছিন্ন হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনসহ এরকম আরও অনেক প্রকল্পের কথা বলতে পারি।

হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক তাহমিনা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক এবিএম আলীম আল ইসলাম। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবীরসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা বক্তব্য রাখেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.