জুনের শুরুতেই অর্থ সংকটে পড়বে মার্কিন সরকার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় সোমবার (২২ মে) আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ঋণ সীমা বাড়ানো না হলো আগামী ১ জুন থেকেই অর্থ সংকটে পড়বে সরকার।
ঋণ সীমা না বাড়লে জুনের শুরু থেকেই সরকারি বেতন, বিলসহ অন্যান্য অর্থ দিতে পারবে না দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর মতো যুক্তরাষ্ট্রেও ঋণ সীমা নির্ধারণ করা আছে। এর বাইরে দেশটির সরকার ঋণ নিতে পারে না। স্বাস্থ্য খাত, সামরিক খাতসহ সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চালানোর জন্য মার্কিন সরকার ঋণ নিয়ে থাকে।
বর্তমানে দেশটির সরকারের ঋণ সীমা হলো ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। যে সীমায় গত জানুয়ারিতেই পৌঁছে গেছে বাইডেন সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ঋণ সীমা বাড়ানোর জন্য কয়েকদিন ধরেই দৌড়ঝাঁপ করছে। কিন্তু এটি আটকে রেখেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির আইন প্রণেতারা। বর্তমানে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকান পার্টির হাতে। আর যেহেতু ঋণ সীমা বাড়াতে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে। ফলে বিষয়টি ঝুলে গেছে।
এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো কংগ্রেসের কাছে চিঠি লিখেছেন অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন। তৃতীয় চিঠিতে তিনি বলেছেন, জুনের শুরু থেকে সরকারি বেতনসহ অন্যান্য বিল দিতে হয়তবা সক্ষম হবেন না তারা। এ কারণে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
যদি ১ জুনের মধ্যে ঋণ সীমা বাড়ানো না যায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সরকার খেলাপি হবে।
এদিকে এ বিষয়টির ওপর বেশি সময় দিতে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার অস্ট্রেলিয়া সফর স্থগিত করেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে কোয়াড নেতাদের সঙ্গে বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, সোমবার (২২ মে) ঋণ সীমা নিয়ে কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন তার আগের চিঠিতে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যদি সরকার একবার খেলাপি হয় তাহলে ‘অর্থনীতির ওপর এর মারাত্মক’ প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন, যদি কোনো কথায় মার্কিন সরকার খেলাপি হয় তাহলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয় এর প্রভাব পড়বে পুরো বিশ্বে— যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য মানুষ চাকরি হারাবেন, দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখে দেবে।
এমন আশঙ্কার মধ্যে অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তাদের ‘ইতিবাচক’ আলোচনা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স