আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি

৫ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহবুব আলম এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ৬-এর দুই ধারার মামলায় আসামি চাঁদকে আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এর পেছনে কেউ আছে কি না তা খুঁজে বের করতে ১০ দিনের রিমান্ড চান। তবে আদালত সার্বিক বিবেচনা করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে নগরীর ভেড়িপাড়া মোড় থেকে বিএনপি নেতা চাঁদকে গ্রেফতার করা পুলিশ। এরপর বিকেলে তাকে আদালতে আনা হয়।

গ্রেফতারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। প্রাইভেটকারে বিএনপি নেতা চাঁদ পালানোর চেষ্টা করছিলেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভেড়িপাড়া মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এখন আইনি কার্যক্রম চলছে। তার বিরুদ্ধে আরএমপিতে চারটি মামলা আছে।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৯ মে রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল বিএনপির। রাজশাহীর পুঠিয়ার কর্মসূচিতে আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল তিনি আত্মগোপন চলে যাচ্ছেন। তাই আমরা বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসাই। পুঠিয়া থানায় মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছি। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

১৯ মে বিএনপির একটি কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। হুমকির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন জেলায় চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.