এয়ারলাইনসগুলোর আটকে থাকা পেমেন্ট দ্রুত পরিশোধে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ
এয়ারলাইনসগুলোর আটকে থাকা পেমেন্ট দ্রুত পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার, (৬ জুন ) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মো. আবুল বাশার।
আবুল বাশার বলেন, ‘বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ এসেছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ২১৪ মিলিয়ন ডলার পাবে। তবে আমরা বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জেনেছি যে ২১৪ নয়, ১৭৭.৭৯ মিলিয়ন ডলার পাবে এয়ারলাইনসগুলো।’ তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি ৭টি ব্যাংকের কাছে পাওনা রয়েছে এয়ারলাইনসগুলোর।
‘আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ডলার পরিশোধের সামর্থ্য আছে। ইতিমধ্যে আমরা ব্যাংকগুলোকে পেমেন্টের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। হয়তো আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বকেয়ার পরিমাণটি কমে আসবে,’ বলেন তিনি। এয়ারলাইনস খাতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ৪০২.১৮ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র।
ডলারের চাহিদা কমাতে এয়ারলাইনসগুলোর কাছে টাকায় জ্বালানি তেল বিক্রির বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে আবুল বাশার বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেইন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপার্টমেন্টের (এফইওডি) সার্কুলার অনুযায়ী, টাকায় তেলের দাম পরিশোধ করার সুযোগ আছে এয়ারলাইনসগুলোর।
‘বর্তমানে অধিকাংশ এয়ারলাইনস বাংলাদেশি তেল কোম্পানি থেকে ডলারে জ্বালানি তেল কিনে থাকে। ডলারের চাহিদা কমাতে এই লেনদেনটি টাকায় করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।’ এর আগে এয়ারলাইনসগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) সাম্প্রতিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে যে, এয়ারলাইনসগুলোর ২১৪ মিলিয়ন ডলার তহবিল আটকে রেখেছে বাংলাদেশ। ফলে তহবিল প্রত্যাবাসনের বাজে পারফর্ম্যান্সে বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানটি এখন বাংলাদেশের।
এভিয়েশন শিল্পের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা জানান, অব্যাহত ডলার সংকটের কারণে টিকেট বিক্রির মাধ্যমে করা আয় প্রত্যাবাসন করতে না পারায় বিদেশি এয়ারলাইনগুলো কম দামে টিকেট বিক্রি বন্ধ করেছে। ফলে বাংলাদেশের যাত্রীদেরকে বিমানভাড়া গুনতে হচ্ছে অনেক বেশি।