জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো এবং সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এর পার্টনার গ্রামীণফোন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গর্বিত টেলিকম পার্টনার হিসেবে জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো এবং সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ যুক্ত হয়েছে গ্রামীণফোন। ০৯ এবং ১০ জুন, ২০২৩ তারিখে ঢাকার আইসিসিবি’তে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে জাতির বহুল আকাঙ্খিত স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর এবং এর সাথে সম্পৃক্ত নানা দিককে কেন্দ্র করে আলোচনা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট শিল্প খাতের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন “স্মার্ট বাংলাদেশ” রূপকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। স্মার্ট রূপান্তরের দৃঢ় প্রত্যয়কে পুঁজি করে গ্রামীণফোন গত বছর দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সফলভাবে ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করেছে। এ উপলক্ষে জিপিহাউসে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি উদ্বোধনের মাধ্যমে ফাইভজি অগ্রযাত্রার শুভ সূচনা করেন বিটিআরসি’র সম্মানিত চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। ট্রায়ালের মাধ্যমে গ্রামীণফোন বর্তমানের ফোরজি সক্ষমতার তুলনায় বহুগুণ বেশি গতির কানেক্টিভিটি অর্জনের বিস্ময়কর মাইলফলক স্পর্শ করে। গ্রামীণফোনের এই অনন্য অর্জন ফাইভজি সংযোগের সূত্র ধরে স্মার্ট নাগরিক গঠন এবং স্মার্ট রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করেছে। অগ্রগতির নিরলস প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় গ্রামীণফোন গত বছর সর্বোচ্চ অনুমোদিত ৬০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম বরাদ্দ নেয়, যা দেশের মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠানটির অনন্য ডিজিটাল সম্ভাবনা তৈরির প্রতিশ্রæতিকে প্রতিফলিত করে। পাশাপাশি, নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণ, নতুন টাওয়ার চালু করা, ক্রমান্বয়ে অতিরিক্ত স্পেকট্রাম কাজে লাগানো এবং গত বছর ফাইবারাইজেশন ও দ্বিগুণ করেছে গ্রামীণফোন। অবকাঠামোগত বিনিয়োগের বাইরেও গ্রামীনফোন একটি সমৃদ্ধশালী ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, মন্ত্রণালয়, এটুআই এবং অন্যান্য সরকারি বিভাগের পাশাপাশি বেসরকারি নানা সংস্থার সাথে সক্রিয়ভাবে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে। সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন দেশের স্মার্ট রূপান্তর এবং ডিজিটাল উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের সমমনা ব্যক্তিদের মাঝে আন্তঃসংযোগ স্থাপন ও উদ্ভাবনী ধারণা বিনিময়ের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি প্রযুক্তির নতুন নতুন ধারা অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য নিজেদের প্রস্তুতি ও দক্ষতা মূল্যায়নের অনন্য এক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট। আয়োজনে তরুণ উদ্যোক্তা, পেশাদার, বিনিয়োগকারী, নীতি নির্ধারক এবং ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টরাও অংশগ্রহণ ছিল উন্মুক্ত। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি প্রধান স্তম্ভকে কেন্দ্র করে আয়োজনে চারটি তথ্যবহুল সেশন পরিচালিত হয়। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান একটি সেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় তিনি আগামীর বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য স্মার্ট নাগরিকদের আইসিটি জ্ঞানের কার্যকরী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেন।
ইয়াসির আজমান বলেন, “একটি স্মার্ট জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের অন্যতম পূর্বশর্ত হল কানেক্টিভিটির মত মৌলিক চাহিদার যথাযথ পূরণ – যে ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন স্মার্ট নাগরিকেরা একটি ভবিষ্যতমুখী, দায়িত্বশীল সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন। শুরু থেকেই আমরা ডিজিটাল দক্ষতার ক্ষেত্রে বিভাজন কমিয়ে আনার লক্ষ্যে, তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতমুখী করে তুলতে, ফ্রিল্যান্সার এবং আম-চাষী থেকে আরম্ভ করে হাতিয়ার মত বিচ্ছিন্ন ও প্রত্যন্ত জনপদে বিভিন্ন মানুষের ক্ষমতায়নে কানেক্টিভিটি সুবিধা নিশ্চিত করেছি। পাশাপাশি, ব্যক্তি এবং ব্যবসায় উভয় পরিসরে ই-সিম এবং ফাইভজি সেবার মতো নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিয়েছি। বিভিন্ন কমিউনিটিকে পরিবর্তনের চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত করে আমরা বাংলাদেশকে আগামীর বিশ্বের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত হয়ে উঠতে সক্ষম করে তুলতে চাই”।
তিনি আরও বলেন, “আমি আশাবাদী, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে এবং আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ উন্নত ক্ষমতার পাওয়ারহাউজ হয়ে উঠবে”।
আয়োজনে গ্রামীণফোনের নিজস্ব প্যাভিলিয়নে (প্যাভিলিয়ন নং এমপি০০৪) দর্শনার্থীরা ইমারসিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও রোবোটিক হাতের সাথে যোগাযোগের মত ফাইভজি প্রযুক্তি সমর্থিত নানা প্রদর্শনীতে মুগ্ধ হন। চিকিৎসা, কৃষি, অবকাঠামো ও বিনোদনের মত বিভিন্ন খাতে ফাইভজি প্রযুক্তির অনন্য রূপান্তর সক্ষমতা জানার পাশপাশি মাইজিপি অ্যাপের ডিজিটাল বইমেলা সহ স্টলের নানা ফিচার উপভোগ করেন তারা।
জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিটে গ্রামীণফোনের অংশগ্রহণ মূলত উন্নত কানেক্টিভিটির অপার সম্ভাবনাকে ভিত্তি করে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করে। গ্রামীণফোন ব্যক্তি ও সমাজের সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং ক্ষমতায়ন চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যা দেশকে ক্রমশ ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত করতে সক্ষম।