সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব পৃতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সঠিক সময়ে নির্বাচনের তারিখ দিবে। অনেক রক্ত দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
গণভবনে আজ বুধবার (২১ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া আমাদেরও দাবি। দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যাচাই বাচাই করে আমরা অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিব। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হবে। যে ফুলটি সবচেয়ে সুন্দর, সেটি আমি বেঁচে নেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ছোট্ট একটি দেশ কিন্তু বিশাল জনগোষ্ঠী। মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবু আমরা দেশে খাদ্য সংকট যেন না হয় সেটার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর ইলেকশন বলে কিছু ছিল না। ভোটের অধিকার ছিল না। আমরাই আন্দোলন করে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। তাদের কথা আলাদা। তারা একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইবে।
তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের ভোটচোর বলে, তারা তো ভোটডাকাত। কারণ তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, অবৈধভাবে ভোট ডাকাতি করেই এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ জুন আমি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেই। আমার বক্তব্যে আমি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘রূপকল্প ২০৪১’, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ফোরআইআরের পথে বাংলাদেশের প্রস্তুতি, মানসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও রূপান্তরমূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে পরিচালিত বিভিন্ন অভিযোজন প্রয়াসের কথা তুলে ধরি। বাংলাদেশে একটি ফোরআইআর সেন্টার স্থাপনের আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, এরপর আমি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠক করি। বৈঠকে আমরা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিষয়ক উদ্যোগে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে একমত হই। এছাড়া আমি ফোরামের উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে এক ট্রিলিয়ন গাছ রোপণ ও পরিচর্যার কর্মসূচিতে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে নীতিগত সম্মতি জ্ঞাপন করি।
একই দিন সকালে শেখ হাসিনা কাতারের শ্রম মন্ত্রী ও এবারের আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট ড. আলী বিন সামিখ আল মারি আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি কাতারে কর্মরত ৩ লাখ ৭০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির ভূমিকার প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি কাতারে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরে ১৪ জুন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে আমি রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য ইউএনএইচআরের প্রতি আহ্বান জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একইসঙ্গে আমি ভাসানচরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একাংশের সাময়িক স্থানান্তর ত্বরান্বিত করতে তাদের সহায়তা চাই। আমি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তাসহ আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তার পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ধরে রাখার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করি।