কাঁচা মরিচের কেজি ৫০০ ছুঁই
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘১০ টাকার কাঁচা মরিচ দিতে পারবো না। মরিচের দাম বাড়তি। ৩০ টাকার নিচে হবে না।’ পোশাককর্মী সাজেদুল ১০ টাকার কাঁচা মরিচ আর ১৫ টাকার বরবটি চাইলে এভাবেই উত্তর দেন মুসলিম বাজারের সবজি বিক্রেতা শুভ হাসান।
বৃহস্পতিবার ঈদের দিন কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও ঈদের পর দিন শুক্রবার (৩০ জুন) বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়। এক পোয়া কাঁচা মরিচ (২৫০ গ্রাম) ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা ২০ টাকার নিচে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে চাইছেন না।
আর ৭০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ ও ১৩৫ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে এ দুটি পণ্যের দাম।
অন্যদিকে, সালাদের আইটেম হিসেবে পরিচিত শসার দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে সেটি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। কিছুটা বেড়েছ সবজি ও মাছের দাম। শুক্রবার পল্লবীর মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রচণ্ড রোদ ও টানা বর্ষায় এবার আবাদ কম হয়েছে কাঁচা মরিচের। সরবরাহেও রয়েছে ঘাটতি। এ কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম।
শুভ হাসান বলেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ছিল ৩৫০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচের। আজ সেটা ৪৮০ টাকা। ভারত থেকে কাঁচা মরিচ না এলে দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নাই।
বৃষ্টির অজুহাতে ৫-১০ টাকা দাম বেড়েছে বেশিরভাগ সবজিরই। প্রতিকেজি ধুন্দল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, চিচিঙা ৮০ টাকা, ছোট করলা বা উস্তা ও বেগুন ১০০ টাকা, কচুর ছড়ি ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস বাঁধাকপি ৬০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, সবজির দাম মাঝে একটু কমে গিয়েছিল। এখন আবার একটু বেশি। বাজারে হয়তো সরবরাহ কম। সরবরাহ বৃদ্ধি না পাওয়া পর্যন্ত গ্রীষ্মকালিন সবজির দাম নিয়ন্ত্রণ হবে না।
এদিকে, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মা-বাবা চিকেন হাউজের বিক্রয়কর্মী আরিফ বলছেন, কোরবানির ঈদে মুরগির মাংসের দাম কিছুটা কম থাকে। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা, সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পাবদা ৩৮০-৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪২০- ৪৫০ টাকা, পাঙাশ মাছ ২০০-২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০- ৩৫০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০- ৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৫৫০- ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০- ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্প (ছোট) ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।