আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

১২ লাখ টন চাল-গম আমদানির সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৬ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জি টু জি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এ চাল ও গম কেনা হবে।

এর মধ্যে জি টু জি ভিত্তিতে ৩ লাখ টন চাল কেনা হবে। আর আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। অন্যদিকে জি টু জি ভিত্তিতে ৪ লাখ ৫০ হাজার টন গম কেনা হবে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টন গম আমদানি করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তরকে জি টু জি ভিত্তিতে চাল ও গম কেনার এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চাল ও গম আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

চাল ও গম আমদানির ক্ষেত্রে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে দরপতন দাখিল করতে হবে। আগে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের ৪২ দিনের মধ্যে দরপতন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।

বুধবার (১২ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক রপ্তানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৩ লাখ টন চাল কেনা এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রপ্তানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৪ লাখ ৫০ হাজার টন গম কেনা এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টন গম আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সাঈদ মাহবুব খান জানান, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাবের পাশাপাশি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দ করা গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সেবা ক্রয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় মালয়েশিয়ার পিরিন্টিস আকাল এসডিএন বিএইচডি-এর কাছ থেকে এলএনজি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.