আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

অনেক কটুকথা শুনতে হয়েছে আমাকে : মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে চক্র পূর্ণ করেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার তিন যুগের শিরোপাখরা ঘুচানোর পাশাপাশি নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় আক্ষেপটাও মিটিয়েছেন ফুটবলের এই মহাতারকা। অথচ সোনালি ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরার আগমুহূর্ত পর্যন্ত কম কটুকথা শুনতে হয়নি তাকে। এমনকী নিজের দেশ আর্জেন্টিনাতেও তাকে নিয়ে অনেক সমালোচনা ছিল।

ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বাহামাতে ছুটি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ফ্লোরিডায় পা রেখেছেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। দুয়েক দিনের মধ্যে তিনি সেখানকার মেজর লিগ সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করতে পারেন। এরপরই আগামী রোববার (১৬ জুলাই) ক্লাবটির বর্ণাঢ্য অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সাবেক এই পিএসজি ফরোয়ার্ড।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল এয়ারপোর্টে পরিবারসহ বিমান থেকে তাকে নামতে দেখা যায়। গত ৮ জুন বার্সেলোনা ও সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালকে হতাশ করে মায়ামিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন মেসি। সবাইকে অনেকটা চমকে দিয়েই তিনি সকার ক্লাবটিতে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেন।

মায়ামিতে পৌঁছেই আর্জেন্টিনার একটি টিভি চ্যানেলকে জানালেন নিজের হবু ক্লাব নিয়ে ভাবনার কথা। কথা বলেন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার আগে মানুষের সমালোচনার টার্গেট হওয়া নিয়েও। ট্রফি শূন্য দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে মেসি বলেন, ‘সত্যিটা হলো সেই সময়গুলো খুব কঠিন ছিল। যখন বার্সেলোনাতে থাকতাম, সময়টা দারুণ যেত। কারণ সেসময় দারুণ সব ম্যাচে জয় পেতাম, ভালো করতাম, প্রশংসা শুনতাম এবং খেলাগুলো উপভোগ করতাম। কিন্তু যখন বার্সা থেকে আর্জেন্টিনার মাটিতে পা ফেলতাম, তখনই নানারকম কটুকথা শুনতে হতো। আমাকে নিয়ে মানুষের তর্ক ও সমালোচনা থাকত। কারণ সবসময় একটা ফলের ওপর নির্ভর করে আমাকে মূল্যায়ন করা হতো।’

আরও বলেন, ‘ভাগ্যবান যে আমি ক্লাব পর্যায়ে ভালো করছিলাম। যখন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে কিছু ভুল হয়ে যেত, তখন বার্সেলোনায় চলে যেতাম। ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করতাম জাতীয় দলের হয়ে আমরা কতটা খারাপ করছিলাম।’

মেসি বলেন, ‘অনেক সমালোচনা শুনেছি, তবে বাজে কথাই বেশি ছিল। লোকেরা ফুটবলের চেয়ে বেশি বাইরের কথাই বলত। যা অসম্মানের সীমা ছাড়িয়ে যেত। এসব একদমই ভালো কিছু ছিল না। এমনকি পরিবারকেও এসব শুনতে হতো। তারাও অনেক কষ্ট পেতো। তারা দেশেই থেকে গেল এবং সবকিছু সহ্য করে নিতো। খুব কঠিন সময় পার করেছি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.