দশ হাজার কোটি টাকা পুঁজি হারালো বিনিয়োগকারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : চার দিন উত্থান আর একদিন পতনের মধ্যে দিয়ে জুলাই মাসের আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে পুঁজিবাজার। আলোচিত সপ্তাহে দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। দাম বাড়াকে কেন্দ্র করে বেড়েছে লেনদেনও। তবে বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) কমেছে ১০ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা
ডিএসইর তথ্য মতে, গত ৯ জুলাই সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৩১ কোটি ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৭০৮ টাকা। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি কমেছে ১০ হাজার ১৩৫ কোটি ৫৪ লাখ ৬৬ হাজার ৩৭৯ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে চার কর্মদিবসে সূচক বেড়েছে ও একদিন কমেছে। সূচক বাড়ার সপ্তাহে বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন। এর মধ্যে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, তার বিপরীতে কমেছে ২৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৯৪টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৯০টির, কমেছিল ১১৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৮৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ২২ লাখ ২৭ হাজার ২৭ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮২ হাজার ১৫৫ টাকা। অর্থাৎ ৬৭১ কোটি ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ৮৭২ টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে যা ১৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৭৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ১৪ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮৪ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার ৪০৫ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ৯৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।