ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী বাস পুকুরে, নিহত ১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝালকাঠির সদরের ছত্রকান্দা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস পুকুরে পড়ে ১৭জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান সানি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ আমরা পেয়েছি। এছাড়া আহত অবস্থায় ১৭ জন ভর্তি আছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার আপডেট মুহূর্তে মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।
এর আগে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ২১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এরমধ্যে ঠিক কতজন বেঁচে আছেন আর কতজন মারা গেছেন সেই তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভান্ডারিয়া ও ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতিতে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৪০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে ভান্ডারিয়া থেকে বাসটি ছেড়ে আসে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটসহ পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকন্দা নামকস্থানে একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে সড়কের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা নিজেরা উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়েন এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানান।
ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল গণমাধ্যমকে বলেন, বাসটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা জানা যায়নি। ক্রেন দিয়ে গাড়িটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনের মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।