নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের ১০ কোম্পানি গত ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল,২৩-জুন’২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে-

ন্যাশনাল ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল,২৩-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৯৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৩৬ পয়সা আয় হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৬২ পয়সা বা ১৭২ শতাংশ।

হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন,২৩) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৫৪ পয়সা (রিস্টেটেড)। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১ টাকা ৪১ পয়সা বা ২৬১ শতাংশ।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১০ টাকা  ৯৪ পয়সা।

এসবিএসি ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল,২৩-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ২৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১০ পয়সা আয় হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১৩ পয়সা বা ১৩০ শতাংশ।

হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন,২৩) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৩১ পয়সা (রিস্টেটেড)। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১০ পয়সা বা ৩২ শতাংশ।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩ টাকা  ২৫ পয়সা।

পিপলস ইন্স্যুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল,২৩-জুন,২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫৪ পয়সা।

অপরদিকে, ৬ মাসে (জানুয়ারি,২৩-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা।

৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ৩২ টাকা ৫১ পয়সা।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) হয়েছে ১৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে আয় ছিলো ৩০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১৭ পয়সা বা ৫৭ শতাংশ।

হিসাব বছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিলো ৫০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২৪ পয়সা বা ৪৮ শতাংশ।

সিটি ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২৩-জুন’২৩) কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি আয় (সমন্বিত ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১ টাকা ৭ পয়সা আয় হয়েছিল।

হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন,২৩) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ২৯ টাকা ৯৬ পয়সা।

এছাড়াও কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) সমন্বিতভাবে হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা।

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২৩-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৬৪ পয়সা আয় হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২৬ পয়সা বা ৪০ শতাংশ।

হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন,২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৩৮ পয়সা বা ২৫ শতাংশ।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৬ টাকা ৯১ পয়সা।

এশিয়া ইন্স্যুরেন্স: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২৩-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৮৭ পয়সা আয় হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৩৫ পয়সা বা ৪০ শতাংশ।

হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন,২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১ পয়সা বা ০.৭ শতাংশ।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৭ টাকা ২৯ পয়সা।

বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২৩-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৫৫ পয়সা আয় হয়েছিল।

হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন,২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৭ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২ পয়সা বা ১.৬ শতাংশ।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২০ টাকা ৮৫ পয়সা।

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২৩-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৫৪ পয়সা আয় হয়েছিল।

হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন,২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২১ টাকা ৪৫ পয়সা।

এবি ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল,২৩-জুন’২২) ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (সমন্বিত ইপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ২৩ পয়সা আয় হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৮ পয়সা বা ৩৪ শতাংশ।

হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন,২৩) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৪১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২ পয়সা বা ৪ শতাংশ।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩০ টাকা ৬ পয়সা।